
রাজশাহীর তানোরে আলোচিত আ’ লীগ কর্মি জিয়াউর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ৫ জনকে কক্সবাজার ও ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঘটনায় ১৫ জনের মধ্যে মোট ৯ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হলো।
বুধবার রাতে র্যাব-৫ রাজশাহীর সদর কোম্পানী একটি বিশেষ আভিযানিক অপারেশন দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন।
এরা হলেন, মামলার প্রধান আসামী তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন আ’ লীগ সাধারন সম্পাদক লালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র তালন্দ ইউপির ৫ নং সদস্য আবুল হাসান (৪২) ও তার ভাই শাহিন (২৫) ও একই ইউপির বিলশহর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র রাশেল (৩০) কে কক্সবাজার থেকে এবং হাসান মেম্বারের আরেক ভাই হাকিম বাবু (৩৪) ও লালপুর গ্রামের সাইদুলের পুত্র সুফিয়ান (৩৪) কে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে তানোর উপজেলা পরিষদ চত্বর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিজ গ্রাম বিশশহর গ্রামের পাকা রাস্তায় জিয়াউর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার ও সন্দেহ মুলক ভাবে ১ নারীসহ ৩ জন ও পরদিন আরো ১ জনকে আটক করেন।
আটককৃতরা হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দেন। ঘটনার পর থেকে হাসান মেম্বারসহ তার অনুসারীরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে হাসান মেম্বারকে প্রধান করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে তানোর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম বলেন, হাসান মেম্বারসহ ৫ জনকে আটকের খবর পেয়েছি, আসামীদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। তিনি বলেন জিয়াউর হত্যা মামলার ১৫ জন আসামীর মধ্যে মোট ৯কে গ্রেপ্তার করা হলো। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।