ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সরগরম। জেলার ১০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে অর্ধ শতাধিক আওয়ামী লীগর নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ উপজেলায় ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

জেলার একটি উপজেলায় জাতীয় পার্টির একজন এবং অপর দুটি উপজেলায় বিভক্ত জাসদের দুই নেতার নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ১১ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর আনাগোনা দেখা যাচ্ছে গৌরনদী উপজেলায়। এখানে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা মনিরুন্নাহার মেরী, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান হারিছ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম জয়নাল আবেদিন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মনির হোসেন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ মুন্সি, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক ও নলচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ মাঝি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফারুক ব্যাপারী ও উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আলমগীর উকিলের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকেই ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রার্থীরা জানান দিচ্ছেন। খবর বাংলাদেশ প্রতিদিনের।

আগৈলঝাড়া উপজেলায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রইস সেরনিয়াবাত, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মতুর্জা খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন সেরনিয়াবাত, সাবেক ভাইস চেয়ারমস্যান জসিম উদ্দিন সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টির নাম আলোচিত হচ্ছে।
উজিরপুর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সিকদার বাচ্চু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম জামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুখেন্দ শেখর বৈদ্য ও ষোলক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবিরের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে। এ ছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাংলাদেশ জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাদলও এবার নির্বাচন করার জন্য গণসংযোগ শুরু করেছেন।

বানারীপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য মামুন-উর রশিদ স্বপন তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টুর নাম আলোচিত হচ্ছে।

এই উপজেলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী ও জাসদ নেতা সাজ্জাদ হোসেন উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। হিজলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ মাহমুদ দিপু, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শাহজাহান তালুকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম স্বপন চৌধুরী এবং হরিনাথপুর ইউনিয়নর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুর রহমান সিকদারের নাম আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে দিপু সিকদার ও স্বপন চৌধুরী ব্যানার টাঙিয়ে গণসংযোগও শুরু করেছেন।
মেহেন্দিগঞ্জে বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম মাহফুজুল আলম লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম ভুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন দিলু, চরগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যমান শামসুল বারী মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদের নাম আলোচিত হচ্ছে। বাবুগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খালেদ হোসেন স্বপন, সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল এবং ভাইস চেয়ারম্যান ফরজানা বিনতে ওহাব সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচিত হচ্ছেন।

বাকেরগঞ্জে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, যুবলীগের সহসস্পাদক রাজিব আহমেদ তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মিজানুর রহমান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমান মাসুদের নাম আলোচিত হচ্ছে। মুলাদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান মিঠু খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ইউসুফ আলী, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরুর নাম আলোচিত হচ্ছে। এ ছাড়া এই উপজেলায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ মিয়ার নাম আলোচিত হচ্ছে। বরিশাল সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু, মহানগর আওয়ামী লীগের আরেক সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চরকাউয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের নাম আলোচিত হচ্ছে।