
স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাধীন বাংলার ইতিহাসে পটুয়াখালী-৩ নির্বাচনী এলাকার দশমিনা উপজেলা থেকে বিএনপির হয়ে একমাত্র ব্যালটের ভোটে নির্বাচিত জনগণে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে খ্যাতি ছিল হাওলাদার মো. ইফতিয়াস উদ্দিন জয়ের। দেশ স্বাধীনের পর তিনিই একমাত্র বিএনপির ব্যানারে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন।
আওয়ামী ঘাঁট এ উপজেলা থেকে এরআগে কখনও বিএনপি কোনো নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি। ২০০৯ সালে কখনও জয় না পাওয়ার রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়ে প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জয় পান দশমিনা উপজেলা বিএনপির সাবেক ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার মো. ইফতিয়াস উদ্দিন জয়। তিনিই ছিলেন বিএনপি থেকে একমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
প্রচলিত আছে, ক্ষমতাসীন দলের দাপটের মাধ্যমে সেই জয় ছিনিয়ে নেয়া হয়। জয় কেড়ে নেয়া হলেও তিনি খ্যাতি পান জনগণের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে। এবার পটু্য়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে চান হাওলাদার মো. ইফতিয়াস উদ্দিন জয়। নির্বাচন করার ঘোষণার পর জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে ছাত্র ও যুবদলের রাজনীতি করে রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা ইফতিয়াস উদ্দিন জয়কে ঘিরে আওয়ামী লীগের ভোট শিবিরে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
তৃণমূলের রাজনীতির মাঠে সবার প্রিয়পাত্র আওয়ামী লীগের জন্য আতঙ্ক বলে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রথম বারের মতো বিএনপির হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়তে পারেন বলে মনে করেন ভোটাররা। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জয় সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকায় বেশ অবদান তার। আন্দোলন-সংগ্রামে রাখছেন নানা ভূমিকা। নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখছেন নিয়মিত। আপদে-বিপদে এবং মামলা-হামলায় পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাদের।
এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসছেন জয়। তাই সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা হিসেবে পরিনত হয়েছেন তিনি।
মনোনয়ন প্রসঙ্গে হাওলাদার মো. ইফতিয়াস উদ্দিন জয় বলেন, দল নির্বাচনে গেলে যে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত তিনি। দল নির্বাচনে না গেলে তার নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। তিনি আরও বলেন, পটু্য়াখালী-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন একজন পরিচ্ছন্ন নেতা।
তিনি বেশ জনপ্রিয়। আমরা পরস্পর আত্মীয়। তিনি মনোনয়ন পেলেও আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে তার সাথে কাজ করবো। আমরা এক সাথে কাজ করলে হবে জয়। সৃষ্টি হবে ইতিহাসের।