
ডেস্ক রিপোর্ট :
সুখ একটি মানবিক অনুভূতি । মনস্তাত্বিক, দর্শনাভিত্তিক, এমনকি ধর্মীয় দিক থেকেও সুখের সংজ্ঞা অন্বেষণ এবং এর উৎস নির্ণয় করার চেষ্টা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই এর ফলাফল একই। সঠিকভাবে সুখ এবং সুখের পরিমাপ করা অত্যন্ত কঠিন। তারপরও চলছে সুখ নামক পাখিটাকে একান্তে কাছে পাওয়ার জন্য ছুটে চলা। কেউ ছুটছে অর্থের পিছু, কেউ বা প্রভাব প্রতিপত্তির জন্য নিরন্তর চেষ্টা। শূন্যের উপর সংখ্যা বসানোর প্রত্যেকের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন চাওয়া, ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে সুখটাকে আঁকড়ে ধরার বাসনা। ২০২০ ইং হতে ২০২৩ ইং। এই সময়মটিতে পুরো বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধী করোনার প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। যা পুরো পৃথিবীর মানুষকে থমকে দিয়েছিল। বোধকরি সুখের সংজ্ঞারও পরিবর্তন হয়েছিল। বেঁচে থাকাটাই যেন হয়ে উঠেছিল সুখ। যার প্রভাব বোধ নাট্যকারের চিন্তাতেও পড়েছে। সে চিন্তা থেকেই মঞ্চে নতুন নাটক এনেছে হঠাৎ নাট্য সম্প্রদায়।
আজ বৃহস্পতিবার ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ষ্টুডিও থিয়েটার হলে
উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয় সুখ নগরের নন্দিনী নাটকের। এটি হঠাৎ নাট্য সম্প্রদায়ের ১০ তম প্রযোজনা। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আকতারুল ইসলাম জিন্নাহ।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আইজুদ্দিন এর ভুমিকায় আকতারুল ইসলাম জিন্নাহ, নন্দিনীর চরিত্রে ফারহানা, চক্রবর্তীর চরিত্রে শুভ হাওলাদার, রমজান চরিত্রে নাজমুল ইসলাম টিটু এবং মাঝির চরিত্রে লুৎফর রহমান মল্লিক। যার অভিনয় সবার নজর কেড়েছে। নাটকের মঞ্চ উপকরন করেছেন নাজমুল ইসলাম টিটু।
নাটকটির নির্দেশক আকতারুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, অনেকের ভাবনায় সুখ একটি আপেক্ষিক বিষয়। বিভিন্ন উপায়ে চিন্তনগণ সুখের বর্ণনা করেছেন। ধর্মীয় দৃষ্টিতেও সুখ খুঁজে নেওয়ার প্রয়াস লক্ষ্যণীয়। ফলাফলে সুখ নামক বিষয়টা যেন অধরাই থেকে গেছে। একটু শক্ত ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় “পৃথিবীতে সুখ শব্দটার কোন অস্তিত্বই নেই।” তবুও সুখের পিছনে ছুটে চলা অবিরত। এখানে সুখের স্বরূপটা আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র। সমস্ত যন্ত্রণা, অসুন্দর পেছনে ফেলে নিজের উৎসরণের অনুকূলে পথ খুঁজে পাওয়ার মধ্যেই যেন এক ধরনের প্রাপ্তি। হতে পারে এটাই সুখ, হয়তোবা নিজের আনন্দটুকু সবার মাঝে ভাগ করে দেওয়ার মধ্যে থাকে সুখ। নানা মুনীর নানা মত হয়তো থাকবে। তবে নিজের ভেতরেই যে সুখের অবস্থান, সেটাই এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এতে সকল কলা কুশলীকে একটা চাপের মধ্যে থাকতে হয়েছে। সেই চাপ কাটিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি নাটকটি নিয়ে যেন সহজেই ঢাকা শিল্পকলা একাডেমীর বাইরে মঞ্চায়ন করা সম্ভব হয়। নাটকটি লেখার সময়ও এ বিষয়টি মাথায় ছিল। তাই বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। আমাদের এই প্রযোজনাটি আপনাদের ভালো লাগলে আমরা কিছুটা হলেও সুখ অনুভব করবো।
নাটকটির একজন দর্শক রিয়াজুল হক মিন্টু বলেন, “মঞ্চে নতুন নাটক মানেই এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে আমাদের মাঝে। হঠাৎ নাট্য সম্প্রদায় সবসময়ই ভালো নাটক করে থাকে। নাট্যকার, নির্দেশক, কলাকুশলীদের জন্য রইলো শুভকামনা।