ঝিনাইগাতীতে সরকারি গুদামে লটারির মাধ্যমে কৃষকদের ধান ক্রয় শুরু

11

মোঃ রাকিবুল হাসান, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী সরকারী খাদ্যগুদামে লটারীতে নির্বাচিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদের কাছ থেকে ৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার মাধ্যমে ধান সংগ্রহ শুরু করেন খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) গোলসানা খাতুন।তিনি জানান, চলতি বছর কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার কথা রয়েছে। প্রতিদিন কৃষকদের কাছে থেকে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বোরো ধান কেনা হবে। অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনকৃত কৃষকদের মধ্যে লটারীতে নির্বাচিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। গত ১৭ মে ঝিনাইগাতী উপজেলা খাদ্যগুদামে চলতি বোরো মৌসুমে সরকারী নির্ধারিত মূল্য ৪৪ টাকা দরে চাল ও ৩০ টাকা দরে ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল কবীর।

অপর দিকে সরকারিভাবে প্রতি মণ ধানের দাম ১২শ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৯শ থেকে ৯শ’ ৫০ টাকা। এছাড়াও প্রতিমান ধান বাজারে ৪০ কেজির স্থলে ৪২ থেকে ৪৩ কেজি মণ হিসেবে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে কৃষকের প্রতি ধানের দাম ৯শ টাকার নিচে। এতে দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চলতি বছর কৃষকের বোর উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে বিগত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। অর্থাৎ প্রতি একর জমি চাষে ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে।

তাতে উৎপাদিত ধানের ব‍্যয়ের সাথে হিসাব মিলালে দেখা যায় উৎপাদিত ধানের দাম ৮শ থেকে ৯শ টাকা। অনেক কৃষকের উৎপাদন ব‍্যয় মেটাতে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমান বাজার আগের চেয়ে আরো কমতে শুরু করায় কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সরকারিভাবে খাদ্য গুদামে প্রতিদিন কৃষকের নিকট থেকে সহজ ভাবে সরকার নির্ধারিত ১২শ’ টাকা দরে ধান ক্রয় করলে কৃষক উপকৃত হতো। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বাজারে ৯শ টাকা দরে ধান বিক্রি করে, অত্র ঝিনাইগাতী উপজেলার দরিদ্র কৃষকেরা। অত্র উপজেলার প্রধান আয়ের উৎস ধান। সিংহাভাগ লোক কৃষক। তাই কৃষকের দাবি সরকারি গুদামে সহজে কৃষক যাতে ধান বিক্রি করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে।