ফরিদপুর কানাইপুর অটোরিক্সা প্রতিকের পাশে কেন্দ্রীয় নেতারা সহ ছাত্রলীগ যুবলীগ

46

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব,ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুর সদর কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গিরে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।সব জল্পনা কল্পনার অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রাপ্তি হলেন ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন। তারি ধারাবাহিতা ধরে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীলীগ,  যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ নেতৃবৃন্দরা ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেনের অটোরিক্সা প্রতীকের জন্য ভোট চাইলেন জনগনের কাছে।

গত সোমবার কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রঙ্গনে হাজার হাজার জনগনের উপস্থিত সামনে রেখে নেতৃবৃন্দরা, অটোরিক্সা প্রতিক হবে ডিজিটাল প্রতীক জনগনের ভালবাসার প্রতিক। একটি কুচক্রীয় মহল ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে নানান ধরনের ষড়যন্ত্র লিপ্ত হওয়ার কারনে আইনের জটিলতায় মহামান্য হাইকোর্ট  বেলায়েত কে নৌকা প্রতীক  বরাদ্দ দিতে পারে নাই। সেই জলিতা ভাঙ্গতে আজ আপনাদের মাঝে বলতে চাই এই অটোরিক্সা মার্কা প্রধানমন্ত্রীর মার্কা, কোন ষড়যন্ত্র কোন অপপ্রচার আগামী ১৬ তারিখে বিজয় রুখতে পারবে না। তাই আজ আমরা আপনাদের কাছে ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেনের অটোরিক্সা মার্কায় আপনাদের মূল্যমান ভোট চাইতে এসেছি

জনসভার মধ্যমণি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি গতবার নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হয়েছে, আপনারা জানেন নামধারী কিছু আওয়ামীলীগ নেতারা আমার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র করায় এবার নৌকা প্রতিক

আইনের জটিলতার কারণে না পেলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ পেয়েছি। এই অটোরিক্সা মার্কা শেখ হাসিনার মার্কা। আপনারা কোন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে না থেকে আমার অটো রিক্সা মার্কায়। 

জনসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে,কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের  কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য বিপুল ঘোষ, বলেন। যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, তার দলের বিরুদ্ধে, তার সত্যিকার  কর্মীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন, মিথ্যা অপপ্রচার চালায়, তারা কখনো আওয়ামী লীগের কর্মী হতে পারে না, সত্তিকারের আওয়ামীলীগ  কর্মী হওয়াটা এতোটা সহজ ব্যাপার না।শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর ফকির মহম্মদ বিলায়েত হোসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও আওয়ামী লীগ দলের  একজন সৎ সাহসী কর্মী। তাই আপনারা নিঃসন্দেহে নির্দ্বিধায় অটোরিক্সা মার্কায় ভোট দিবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন,যারা দল করেন দলের বাইরে কথা বলেন, নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ষড়যন্ত্র লিপ্ত থাকেন, তাদেরকে সাবধান করে বলতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে দলে থাকতে পারবেনা। তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করা হবে। আজ এই জনসভায় হাজার হাজার উপস্থিতে বোঝা যায় ফকির মোঃ বেলায়েত হোসনকে জনগন কতটুকু ভালবাসেন। আমরা আশা রাখবো এই ভালবাসা ধরে রেখে ১৬তারিখ নির্বাচনে আপনাদের ভালবাসার মানুষটাকে অটোরিক্সা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ তামজিদুল রশিদ চৌধুরীর রিয়ান বলেন,মানুষকে ভালবেসে তাঁদের ভালবাসা অর্জন করতে হয়, হুমকি ধামকি দিয়ে না। ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন মানুষকে তাঁর ভালবাসা দিয়ে আপন করে নিয়েছেন, এর কারনে জননেতা আব্দুল রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রলীগ কর্মীরা ১৬ তারিখ পর্যন্ত মাঠে থাকবে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা, হুমকি ধামকি, অপত্তিকর ঘটনা ঘটলে সেটা প্রতিহত করার জন্য ছাত্রলীগ কঠোর ভূমিকা পালন করবে।

এই সময় আরো বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, সাংবাদিক প্রবীর শিকদার, জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শাহ মোঃ রাহাত, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইম আহমেদ সহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।