নাজিরপুরে নিখোঁজের চার মাস পরে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

55

মোঃ মশিউর রহমান (নাজিরপুর) পিরোজপুর প্রতিনিধি : 

পিরোজপুরের নাজিরপুরে নিখোঁজের চার মাস পরে চিরকুটের সূত্রধরে গৃহবধু লামিয়া আক্তার (১৯) এর অর্ধগলিত লাশ ১৩ মার্চ সোমবার সকালে চিথলিয়া গ্রামের মোজাহার মোল্লার বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বের একটি বালু ভরাট মাঠ থেকে উদ্ধার করেছে নাজিরপুর থানা পুলিশ। লামিয়া আক্তার একই গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম খানের মেয়ে ও মিজান খানের পুত্রবধু।
জানাগেছে,একই এলাকার মোঃ মিজান খানের ছেলে, মোঃ তরিকুল ইসলাম (২২) এর সাথে লামিয়ার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে গত ৩০ মে ২০২২ ইং তারিখ সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়।

স্বামী তরিকুলের পিতা-মাতা লামিয়াকে বৌ হিসাবে গ্রহন করে না নেওয়ায় সে তার পিত্রালয়ই বসবাস করত। ০৭ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে লামিয়া আক্তার নিখোঁজ হয়। লামিয়ার পরিবার তাদের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি করিয়া না পেয়ে নাজিরপুর থানায় ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে একটি নিখোঁজের ডাইরী করে। ডাইরী মূলে লামিয়া’র মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে নাজিরপুর থানায় তরিকুল সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরন মামলা করে যাহার মামলা নং-১০।  
লামিয়ার খালা সাবিনা জানান, গতকাল ১২ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে  লামিয়াদের বসত ঘরের টিনের চালে মাটির ঢিল ছুড়ে মারার শব্দ পেলে ঘরের দরজা খুলে বের হতেই সিড়ির উপরে মাটির চাকা দিয়ে একটি চিরকুট চাপারাখ দেখে এবং তরিকুলকে দৌড়ে যেতে দেখে, চিরকুটটি হাতে তুলে দেখা যায়, তোমার মাইয়ার লাশ মোজাহার মোল্লার বাড়ি পশ্চিম পাশে বালুর মাঠে, সব জানে মেজো খালা, ইতি মুমিন।

তাৎক্ষনিক লামিয়ার পরিবার নাজিরপুর থানা পুলিশকে অবহিত করলে নাজিরপুর থানা পুলিশ সাড়া রাত বালু ভরা জায়গাটি ঘিরে রাখে। সকালে থানা পুলিশ বালু ভরাট জায়টির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অর্ধগহলিত লাশ উদ্ধার করে। এসময়   বরিশাল র‌্যাব-০৮, সিআইডি, পিবিআই, ক্রাইমসিন ইউনিট এর একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, বাদীপক্ষ গতকাল রাতে কে বা কাহারা একটি চিরকুট লিখে দরজার সামনে রেখে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদেরকে জানালে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং সেই জায়গাটি সাড়া রাত পাহাড়া দেই।

সকাল বেলা বালুর মাঠে নরম স্থান চিহ্নিত করে বালু খোরার পরেই দুইটি হাড়ের সন্ধান পাই এবং পরবর্তীতে আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, পিবিআই, র‌্যাব-০৮, ক্রাইম সিনের একটি টিমের সহযোগীতায় লাশ উত্তোলন করি, আমরা ময়না তদন্ত এবং তার ডিএন পরীক্ষার পরে বলতে পারব, লাশটি লামিয়ার কিনা, তবে লামিয়ার পরিবার এবং স্থানীয়রা ধারনা করেছে লাশটি লামিয়ার।