ঝিনাইগাতিতে ভূমি প্রশাসনের উদ্যোগে ফলে জমির খাজনা আদায়ে ব্যাপক সাড়া মিলেছে

30

মোঃ রাকিবুল হাসান, ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবির নানা মুখি উদ্দ্যোগের ফলে জমির খাজনা আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ দিনের বকেয়া জমির খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) পরে থাকায় এক দিকে যেমন জমির মালিকেরা খাজনার দায়ে ঝামেলাই পরছে। অপর দিকে সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমানে ভূমি প্রশাসনের নানা মুখি প্রচার প্রচারনা মাইকিং ও মেলা সহ বিভিন্ন উদ্দ্যোগের ফলে জমির খাজনা আদায় ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় বহুগুনে খাজনা আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন প্রত্যাক ভূমি অফিসে জমির খাজনা পরিশুধের জন্য জমির মালিকগনদের ভিড় করতে দেখা যায়। গত ৫ মার্চ ধরে জমির মালিকগন জমির খাজনা দিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় অফিসে দীর্ঘ লাইন ধরে খাজনা পরিশোধ করছে।

৫ মার্চ হইতে ৯ মার্চ পযন্ত জমির খাজনা পরিশোধের মেলা ছিলো কিন্তু অনেকেই জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারে নাই। তাই জমির মালিকদের অনুরুধে ৯ মার্চ হইতে ১৬ মার্চ পযন্ত খাজনা পরিশোধের মেলার সময় বৃদ্ধি করা হয়। উল্লেখ্য অত্র উপজেলার অধিকাংশ লোক কৃষক। তাদের একমাত্র আয়ের উৎস কৃষি ফসল। তাই সিংহভাগ জমির মালিক চলতি বোর মৌসুম উৎপাদন করে আর্থিক ভাবে সংকটে আছে।

জমির খাজনা পরিশোধ করা ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক সংকটের কারনে জমির মালিক (কৃষক) জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারছেনা। ভূমি প্রশাসনের উৎসাহের ফলে জমির খাজনা আদায় ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঝিনাইগাতি উপজেলার ৪ টি ভূমি উন্নয়ন কর অফিসে
জমির মালিকগন জমির খাজনা পরিশোধ করতে উপস্থিত দেখা যায়। ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন সহকারি
কর্মকর্তা ঝিনাইগাতি সদরের মিনাল কান্তি সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান বিগত বছর গুলির তুলনায় এ বছর অনেক বেশি খাজনা আদায় হচ্ছে। তবে বোর মৌসুম কাটার পর আরো অনেক বেশি পরিমানের ভূমি উন্নয়ন কর/ জমির খাজনা আদায় হবে। ঝিনাইগাতি উপজেলা সহকারিকমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবিরের নানা মুখি প্রচেষ্টার ফলে জমির মালিকদের খাজনা প্রদানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে।