দক্ষিণ খানে ভুয়া জ্বীন হুজুরের খপ্পরে পড়ে বিপদগ্রস্ত অসহায় মানুষ,হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

18


সকালের খবর ২৪ ডেস্কঃ

উত্তর ঢাকার দক্ষিণ খান গাওয়ার ও প্রেমবাগনের মাঝামাঝি স্কয়ার বিল্ডিং সংলগ্ন কলিল রোডে, মেম্বার বাড়ি গলি এ ভুয়া মহিলা দরবেশের বাসা। এই ভুয়া জ্বীন হুজুরের নাম রহিমা। তথ্য নিয়ে দেখা যায় এই ভয়া জ্বীন হুজুর যে কোনো সুরা তেলওয়াতও করতে পারে না।আরও
জানতে পারা যায় তিনি যে কোনো ব্যক্তির সমস্যা সমাধান করতে পারেন, অসহায় ও সাধারন মানুষদের মিথ্যা আশ্বাস ও সুন্দর কথা বলে এ তদবির করেন,এ ভাবে অসহায়দের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ
টাকা।

দীর্ঘ দিন ধরে তার বাসায় বসেই তিনি এ সব সমাজের কুসংস্কার মুলক মিথ্যা তদবির দিয়েআসছেন।যেমনঃ বান মারা-সংসার বিচ্ছেদ ও জোড়া লাগানো-চাকরিতে ও ব্যবসায় আয় বরকত বাড়িয়ে দেওয়া-পাওনা টাকা আদায় করে দেওয়া,কুফরি কালামসহ যেকোনো রোগের চিকিৎসাও করেন জ্বীন ডেকে এই রহিমা(৪৫) ভালো
করেন।তিনি তারা বাসার মধ্যে একটি অন্ধকার ঘরে সেই সব অসহায়দের ডেকে এ তাদের বিপদ উদ্ধারের কাজ করেন বলে জানায় এলাকাবাসী।

এমনকি তাবিজ কবজও দিয়ে থাকে যা কোনো কাজেই
আসে না,অসহায়রা তাদের সুফলের জন্য মাসের পর মাস তার আসেন এবং টাকাই দিয়ে যান তাদের বিপদ থেকে মুক্তি পাবার জন্য কিন্তু কোনো সমাধাই হয়না।

এ ধরনে অসহায়দের কারোর কাছ থেকে ২০ হাজার কারোর কাছ থেকে ৩০ হাজার আবার কারোর কাছ থেকে ৫০ হাজারও নিয়ে থাকেন চুক্তিতে তদবির দেয়ার জন্য এবং এই অসহায়রা তার কাছে ছুটে যায় মাসের পর মাস এবং এই ভুয়া জ্বীন হুজুর রহিমা তাদেরকে মিথ্যা
আশস দে মাসের পর মাস কোনো কাজই হয় না।এলাকার সবাই তাকে জ্বীন হুজুর পরিচয়েই চেনেন। এমনকি তাদের বাসার সামনে একটা মালিহা ভ্যারাটিজ স্টোর আছে যেখানে তার স্বামী ও ছেলে মোঃ মেহেদি
হাসান(০১৬৮০০৩৮১১৫) বসে।

আবার এলাকার অনেকে রাব্বির আম্মা জ্বীন হুজুর হিসেবেও চেনেন। রাব্বি এই ভুয়া মহিলা জ্বীন হুজুরে
ছোট ছেলে। এ দিকে আরো তথ্য মেলে এ বিষয়ে ঢাকার কিছু মুখোশধারী সাংবাদিকরা জানতে পারলে এই রহিমার কাছে জানতে চাইলে তার পেশা সম্পর্কে তখন তিনি তাদেরকে নগদ টাকা অথবা বিকাশে টাকা দিয়ে মেনেজ করেন। এ বিষয়ে দক্ষিণ খান থানার কেউ
কিছু বলতেও পারেন না এবং তাকে আটকও করা হয় না। এলাকার কয়েকজন স্থানীয়রা জানান,এই রহিমা কোনো সুরাই বলতে পারেন না এমনকি আলহামদু সুরাই বলতে পারেনা যে সে কি ভাবে জ্বীন ডেকে মানুষের তদবির দেয়? এমনকি এই রহিমার জন্য এলাকার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে,আর এই ভুয়া ও প্রতারক মহিলাকে প্রশাসন কেই গ্রেফতার করে না। এদেরমত ভন্ড- প্রতারকদের জন্য অনেক অসহায় মানুষ তাদের টাকা তদবির জন্য দিয়ে
উপকার না পেয়ে তাদের নিজেদের সংসারে অশান্তির তথ্য পাওয়া যায়।
এলাকাবাসির একটাই দাবি এই প্রতারক মহিলাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেয়া হোক,যাতে তার শাস্তি দেখে আর কেউ যেনো প্রতারনার শিকার না হয়।