কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। উত্তাপ বেশি ছড়াচ্ছে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন। এখান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন’র পক্ষে বহিরাগতদের মোটরসাইকেল মহড়া, হুমকি এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর টর্চার সেলে নিয়ে হাতপাখা প্রতীকের কর্মী বদরুল পহলানকে নির্যাতনের অভিযোগে শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলনের পর আজ শনিবার নৌকার পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় নৌকার পক্ষের মামলা পুলিশ এজহারভুক্ত করলেও হাতপাখা পক্ষের মামলা এজাহারভুক্ত করেনি পুলিশ। এমনকি হাতপাখা প্রতীকের ৬ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ ধরে এনে গ্রেপ্তার করার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা বলছেন হাতপাখা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে শুক্রবার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে ১০ মার্চ সকালে হাতপাখা ও নৌকা কর্মী সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় উওভয়পক্ষের কর্মীরা আহত হওয়ায় নৌকা ও হাতপাখা প্রতীকের দু’চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। নির্বাচনী আচরণ বিধি মালা লংঘনের দায়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা তাদেরকে জানাতে বলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম বলেন, ‘থানায় দুই পক্ষ অভিযোগ দায়ের করলেও নৌকার প্রার্থীর অভিযোগটি রেকর্ড হয়েছে। কারন তাদের কিছু কর্মী জখম হয়েছে এবং হাসপাতালে রয়েছে। পাখা প্রতিকের প্রার্থী যে অভিযোগ দিয়েছে সেটি তদন্তাধীণ রয়েছে। তারা শুধু মামলার এজাহারভূক্ত আসামীদেরই গ্রেফতার করছেন বলে জানান তিনি।’
কলাপাড়া নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মিঠাগঞ্জের দু’প্রার্থী কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণের পর ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যেই আজ শনিবার তারা জবাব দাখিল করেছেন। তবে তাদের জবাব সন্তোষ জনক না হওয়ায় পুনরায় তাদেরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
