বাহারি রঙ্গের ‘গোলাপফুল’ চাষ করে লাখপতি ঝিনাইগাতির আলী

30

মোঃ রাকিবুল হাসান, ঝিনাইগাতি শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতি সিমান্ত এলাকা সন্ধাকুড়া গ্রামে গোলাপের বাগান করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়।

সূত্র মতে জানা যায় বাজার এর ফুল ব্যাবসায়ী এখানে ১ একর ২৫ শতাংশ জমি ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে এই গোলাপ বাগান করেছে। উৎপাদিত ফুল স্থানীয় ভবে তেমন একটা বিক্রি করে না। সমস্ত ফুল ঢাকায় নিয়ে শাহাবাগ আগারগাঁও এলাকায় বিক্রি করে।

মোহাম্মদ আলী ফুল ব্যাবসায়ীর নিজস্ব জমি না থাকায় ঝিনাইগাতি উপজেলার সিমান্তে নিজ এলাকায় জমি লিজ নিয়ে সে গোলাপের চাষ করে। এতে তার ব্যায় হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মতো। তার ফুল বিক্রি সম্পর্কে জানতে
চাওয়া হলে তিনি জানান সুধু মাত্র ফেব্রুয়ারী মাসেই ৫ লক্ষাধিক টাকার ফুল বিক্রি করেছে।
প্রতিটি গোলাপ ফুল এলাকায় বিক্রি করলে ২০/৩০ টাকা আর ঢাকায় প্রতিটি ফুল বিক্রি করলে ৫০/৬০ টাকায়।

এই সমস্ত গোলাপ বিভিন্ন প্রজাতির এবং বাহারী রংঙ্গের হয়ে থাকে। গোলাপের চারা দেশীয় এবং বিদেশীয় প্রজাতের প্রায় ৮/১০ প্রকারের। এককে প্রজাতির একেক ধরনের রং হয়ে থাকে। গোলাপি রং ছাড়াও হলুদ, সাদা, লাল, সাদা গোলাপি মিশ্র, লাল হলুদ মিশ্র, কমলা ও কালো আভা সহ আরো কয়েক প্রকার ফুলের জাত রয়েছে।

সন্ধাকুড়া গ্রামের ফুল চাষি মোহাম্মদ আলীর বাহারী রঙ্গের গোলাপ বাগানের ফুল দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য লোক সন্ধাকুড়া গোলাপ বাগানে ভিড় জমায়।


বাগানের বাহারি রঙ্গের গোলাপ ফুল দেখে ব্যাপক আনন্দ উপভোগ করেন। সূত্র মতে জানা যায় ফুল চাষি মোহাম্মদ আলী গোলাপ ফুলের চারা গুলো ভারত থেকে উন্নত জাতের কিছু চারা সংগ্রহ করেছে আর আমাদের দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতের চারা সংগ্রহ করে এই ফুলের চাষ করেছে। উঁচু বেলে দোআঁশ জমিতে ভালো করে চাষ করে এবং প্রচুর পরিমানের জৈব সার (গবরের সার) প্রয়োগ করে চারা রুপন করতে হয়।

গোলাপ চাষি জানায় বাগানের চারদিকে ভালো ভাবে ঘির দিয়ে সংরক্ষন করতে হবে। বাগানে মানুষের যাতায়াত সীমিত রাখতে হয়। যাতে ভাইরাসে গাছ আক্রান্ত না হয়। পরিচর্যার পাশাপাশি মাঝে মাঝে সেচ দিতে হবে। চারা লাগানোর ৩/৪ মাসের মধ্যে চারাগুলিতে ফুল আসতে শুরু হয়।
পর্যায়ক্রমে ফুল ধরতে থাকে আর পর্যায় ক্রমে ফুল উত্তলন করে বাজার জাত করা যায়। প্রতি বছর ১ একর
জমিতে ভালো ভাবে ফুল চাষ করে ৫ লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব বলে গোলাপ চাষি মোহাম্মদ আলী
জানায়। এ ব্যাপারে ফুল চাষি মোহাম্মদ আলী ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে কথা হলে তিনি এই উল্লেখিত আলোচনা করেন। উক্ত ফুল চাষি আগামিতে আরো ২ একর জমিতে আরো উন্নত জাতের বাহারি রঙ্গের গোলাপ চাষ করবেন এমন প্রত্যাশার কথা জানান।

ফুল চাষি মোহাম্মদ আলী জানান যদি ভালো ভাবে আগ্রহ ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে সফলতার ও ভাগ্যের চাকা
ঘুরিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানান ফুল চাষির চাষ কৃত ফুলের বাগান দেখে অত্যান্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ফুল চাষির সাথে নানা বিষয়ে দির্ঘ সময় আলোচনা করে ফুল চাষি মোহাম্মদ আলীর এমন সফলতায় বিস্মিত হন কৃষি কর্মকর্তা। মোহম্মদ আলী ফুল ব্যাবসায়ী ফুল চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে।