
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে সরকারি খাস জায়গায় দুইটি
মূল্যবান রেইনট্রি গাছ কর্তনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ কর্তনের বিষয়টি নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাকে অবগত করার পরেও যথাযথ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ফলে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা প্রশাসনকে.বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি জায়গার গাছ কর্তনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার
সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের মাঝে প্রশাসনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে ও সরজমিন গিয়ে জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারে নরসুন্দা নদীর পাড় পুরাতন ঘাট সংলগ্ন সরকারি খাস জায়গায় মূল্যবান
দুইটি মোটা রেইন্ট্রি গাছ রয়েছে। যাহার আনুমানিক মুল্য প্রায় ১ লাখ টাকা। একই ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুছের পুত্র পাভেল, সাহেব আলীর পুত্র তারু মিয়া ও মৃত শাহজাহান ভূইয়ার পুত্র লিয়ন উক্ত রেইনট্রি গাছ সংলগ্ন তাদের দোকান ঘর রয়েছে।
উক্ত দোকান ঘর পুর্ণনির্মাণের জন্য দুইটি রেইনট্রি গাছ অপসারণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ফলে তারা নিজেরা গাছের মালিক দাবী করে ৭৫ হাজার টাকায় গাছ দুটি বিক্রি করে দেয়। স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী ফাইজুল, মোনায়েম ও ইদ্রিস ব্যাপারী গাছ দুটি ক্রয় করেছেন। বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীরা গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যায়। গাছ কাটার শুরুতেই সরকারি জায়গায় গাছ
কর্তনের বিষয়টি প্রথমে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম আরিফকে জানালে তিনি রাজগাতী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শরীফ মোল্লাকে সেলফোনে তাকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তুু এর কোন ফলপ্রসূ না হওয়ায় এলাকার সচেতন কয়েকজন নাগরিকর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে একাধিকবার ফোন করলেও এর যথাবিহীত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
ফলে বিষয়টি নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মোহাম্মদ আবুল মনসুরকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। কিন্তুু কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা গাছ কর্তনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দুটি গাছের মুল কান্ড দাড়িয়ে আছে। এ বিষয়ে গাছের দাবীদার পাভেল ও লিয়ন বলেন, গাছ দুটি তাদের নিজস্ব জায়গায় এবং
তারাই গাছ দুটি রোপন করেছিলেন। নিজেদের গাছ নিজেরাই কর্তন করছি,এখানে সমস্যার তো কিছু নাই। রাজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইফতেকার মোমতাজ খোকনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এলাকার সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জানান, সরকারি সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের।
এখানে প্রশাসনকে জানালেও বিষয়টি কোনভাবে আমলে না নেওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে সরজমিন তদন্তমূল্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য
এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।