
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
ঢাকাস্থ পল্লবীর আদর্শনগর আবাসিক এলাকার স্বপনা আক্তার (১৪) নামে ক্যান্সার আক্রান্ত বর্ণমালা মডেল স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে বাঁচাতে সমাজের সহৃদয়বানদের সহায়তা চেয়ে (৯ মার্চ) বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সকাল ১১ ঘটিকায় সংবাদ সম্মেলন করেন তার পরিবার ।
স্বপনার বড় বোন আছমা বলেন,ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বপনার আকুতি আমাকে বাঁচানোর মতো একজন ব্যক্তি কি নেই বাংলাদেশে ? ‘ স্বপনা বর্ণমালা মডেল স্কুলের ৮ম শ্রেণীর একজন ছাত্রী। গত ৪ মাস পৃর্বে হঠাৎ করে স্বপনার ডান পায়ে ব্যাথা অনুভব করে, তাই বাধ্য হয়ে তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে আমাদেরকে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে জানতে পারি তার ডান পায়ের হাড়ের মধ্যে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মহাখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আমার বোন। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এই চিকিৎসা ব্যয় বহন আমাদের মতো দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই স্বপনাকে বাঁচাতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী, মাননীয় মন্ত্রী পরিষদ সচিব, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ কে চিঠি দেওয়ার পর ও এখন পর্যন্ত একটি টাকা পাইনি। বাংলাদেশে প্রায় ১৮/২০ কোটি লোক বসবাস করে তার মধ্যে কি একটি লোক ও নেই যে আমার বোনের চিকিৎসা করাতে সহযোগিতা করতে পারে। কেউ যদি সহযোগিতা না করে তাহলে আমার বোনের পা কেটে ফেলতে হবে। অথচ ডাক্তার বলেছে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে যদি একটি বাটি কিনে দেওয়া যায় তাহলে স্বপনার পা কাটতে হবে না। আমাদের পিতা নেই। আমার বোনকে ১৪ দিনের রেখে মারা গেছে আমার পিতা। আমার মা গার্মেন্টস এ চাকুরী করে। মা যদি চাকুরী না করে তাহলে না খেয়ে থাকতে হয়। বর্তমানে আমার মা অসুস্থ্য তার পায়ের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।মা হাঁটা চলা করলে তার পা ফুলে যায়। আমাদের পক্ষে স্বপনার চিকিৎসার খরচ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব না। তাই সমাজের সহৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি। ’
স্বপনার মা রহিমা বলেন, গার্মেন্টস এ চাকুরী করে ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ছোট মেয়ের ক্যানসারের চিকিৎসার কারণে তা আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। জানালেন, ‘আমিই তো একমাত্র রোজগার করি। মেজো মেয়ে ঘরে বসে টুকটাক কিছু করে কিন্তু তা ও বর্তমানে বন্ধ। মেয়ের ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ কুলিয়ে উঠতে পারছি না। গত ৪মাসে আমার জমানো টাকা যা ছিল, সেই টাকাও শেষ হয়ে গেছে। আমি তো বড় কোন চাকুরী করি না। তাতেই মেয়েদেরকে নিয়ে ভালোই চলছিল। কিন্তু ছোট মেয়ের ক্যানসারের কারণে কোনোভাবে সবকিছু সামলাতে পারছি না।’
স্বপনার মা রহিমা আরো বলেন, ‘আমি নিজের সবটুকু দিয়ে মেয়েকে ভালো রাখার চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। মেয়ের বেঁচে থাকার আকুলতা এবং মেয়েকে হাসপাতালে দেখতে আসলে ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে। আমরা সবাই মিলে যদি মেয়েকে সম্পূর্ণ রুপে সুস্থ্য করতে পারতাম তাহলে মনে খুব আনন্দ পেতাম। কারো পক্ষে সম্ভব হলে আমার মেয়ের জন্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন। হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে, কিন্তু আমার মেয়ের পা টা রক্ষা করার জন্য হাতে সময় অনেক কম।’খরচ করতে করতে আর কোনো টাকা জমা নেই তার হাতে! ফলে মেয়েকে বাঁচাতে সহায়তা কামনা করছেন স্বপনার মা রহিমা । আপাতত ১০ লাখ টাকা হলে মেয়ের বাকি চিকিৎসা করাতে পারবেন। সবার কাছে আকুল আবেদন, আমার এই ছোট মেয়ের দিকে আপনারা একটু তাকান, একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার একটু সহায়তায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতে পারে আমার মেয়ে। স্বপনা ফিরে পেতে পারে তার বেঁচে থাকার শ্রেষ্ঠ অবলম্বনটাকে।’ মেয়েকে ৬টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।
আমার অ্যাকাউন্ট নম্বর- রহিমা , ২১১১০৩০২৯৭৯56, ডাচ বাংলা ব্যাংক, পল্লবী শাখা এ সাহায্য পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, কেউ যদি বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে চান তাহলে এই নাম্বারে পাঠাতে পারেন- ০১৭৪৭৮৯৫০০৮ (পার্সোনাল) । বর্তমান ঠিকানাঃ- বাসা-৫৪/২,এভি-১/এ, আদর্শনগর, ১১/ই, পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ তে (২য় তলায়) স্বপনার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাহায্য পাঠানো যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
ডিআই/এসকে