
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ২৫ বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা হারুনু রশিদ খানকে গুলি করে হত্যার নেপথ্যে বাজার এজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিসি)।
গোয়েন্দা সংস্থাটি বলছে, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনকে হত্যায় অংশনেন ছয়জন। দুটি মোটরসাইকেলে করে এসেছিল। এই হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া দুজনকে রাজধানীর মতিঝিল থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবির মতিঝিল বিভাগ।
এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত দুটি রিভলবার ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. ফরহাদ হোসেন ওরফে মোফাজ্জল হোসেন সরকার (৩৪) ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৮)।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যানকে নিজ বাসায় ঢুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন অংশ নিয়েছে। দুই রাউন্ড গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে বাসা ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যায় ঘাতকরা।
এর আগে হত্যাকারীরা গ্রেফতারকৃতদের কাছে অস্ত্র বুঝিয়ে দেয়। শিবপুর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার নির্দেশে প্রথমে নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে এরপর আসাদের নির্দেশে ঢাকার মতিঝিলে এসে আত্মগোপন করে ছিলো। মঙ্গলবার রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আর এই হত্যার নেপথ্যে ব্যক্তিগত ও বাজার ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্ব। হত্যার সময়ে যারা জড়িত সবার নাম আমরা পেয়েছি।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃত দুজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করবে ডিবি। তবে নরসিংদী জেলা পুলিশ প্রয়োজন মনে করলে কোনো তথ্যের জন্য সহযোগিতা চাইলে আমরা করবো।
ডিআই/এসকে