ঝিনাইগাতীতে ভূট্টার ফসল ভালো হওয়ায় কৃষকরা বেজায় খুশি

27

মোঃ রাকিবুল হাসান, ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ বছর অনেক কৃষক ভূট্টা চাষ করেছে। কম খরচে বেলে দোআঁশ মাটিতে ভূট্টার উৎপাদন ভালো হয়। তাই কৃষকরো অল্প খরচে অধিক লাভের ফসল ভ্্ূট্টা আগের তুলনায় অনেক বেশি জমিতে ভূট্টা চাষ করেছে। ভূট্টার বাজার ভালো হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহি হয়ে ভূট্টা চাষের দিকে ঝুকেছে। ভূট্টা চাষ করার সময় সার প্রয়োগ করে বীজ বপন করার পর ২/৩ সপ্তাহ পর ১/২ বার সেচ দিতে হয়। ভূট্টার চারা গজানোর ২০/২৫ দিন পর উক্ত ভূট্টা খেতে সেচ দিয়ে সার প্রয়োগ করতে হয়। ভূট্টা খেতে তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না।

৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই ভূট্টা উৎপাদন হয়। প্রতি একর ভূট্টা চাষ করতে ১৫/২০ হাজার টাকা ব্যায় হয়। আর প্রতি একরে ভূট্টা ৫০/৬০ মণ। প্রতিমণ ভূট্টার বাজার মূল্য ২২শ” থেকে ২৫শ” টাকা। ভূট্টার খড় কুঠা প্রতি একরে বিক্রয় মূল্য ৮/১০ হাজার টাকা। এই সমস্ত ভূট্টার খড় কুটার গো খাদ্য হিসেবে ব্যাপক চাহিদা। প্রতি একরে খরচ বাদে ৫০/৬০ হাজার টাকা কৃষকরে আয় থাকে।

লাভ জনক ফসল ভূট্টা হওয়ায় এবার ঝিনাইগাতি উপজেলায় যে সমস্ত এলাকায় ভূট্টা চাষ করেছে ঝিনাইগাতি সদর ইউনিয়নের রামেরকুড়া, বনকালি, দিঘির পাড়, চতল, রাম-নগর, গৌরিপুর ইউনিয়নের গজারিকুড়া, হলদিবাটা, বনগাও, জিগাতলা, দুধনই, নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া, ভারুয়া, ফাকরাবাদ, ডেফলাই, সন্ধাকুড়া, কাংশা ও ধানশাইল ইউনিয়নের গুরুচরন দুধনই, আইরাপুর, পানবর, বাকাকুড়া, ভালোকা, ফুলহারি সহ আরো বহু এলাকা।

বর্তমানে এই সমস্ত ভূট্টার উৎপাদিত ফসল ভালো দেখে কৃষকের মনে আনন্দ। সঠিক ভাবে ভূট্টা কৃষক ঘরে তুলতে পারলে কৃষকরাও লাভবান হবে অপর দিকে দেশের উৎপাদনে যুগান্তকারি ভূমিকা রাখবে কৃষকের এই ভূট্টা।গম/ভূট্টা (আটা/ময়দা) আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে।

এতে দেশের আমদানি ব্যায় অনেকটাই কমে আসবে। তাই ধানের পাশাপাশি গম/ভূট্টা চাষের মাধ্যমে কৃষকেরাও লাভবান হবে একই সাথে দেশের খাদ্য চাহিদায় কৃষককে উৎপাদিত গম/ভূট্টায় কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের সহযোগিতা করা জরুরি দরকার বলে বিজ্ঞমহল মনে করে।

উল্লেখ্য চলতি বছরে দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদেরকে কৃষি প্রণদনা হিসাবে কিছু সংখ্যক কৃষকদেরকে ভূট্টা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এতে কৃষকরা উৎসাহি হয়ে ভূট্টা চাষে আগ্রহি হয়েছে।

যদি প্রণদনা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতো তাহলে আরো অনেক কৃষক ভূট্টা চাষে আগ্রহি হতো। এ ব্যপারে ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান ভূট্টা চাষিদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করছি।

বর্তমানে যে সমস্ত ভূট্টা চাষিরা ভূট্টা চাষ করেছে এই সমস্ত ফসল খুব ভালো অবস্থানে আছে। লাভ জনক ফসল আগামিতে যাতে আরো কৃষকরা ভূট্টা চাষে আগ্রহি হয় এ ব্যাপারে আমরা আন্তরিক ভাবে উৎসাহিত করছি।