নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি’র সপ্তাহব্যাপী অভিযানে ১৩২ টি বার্মিজ গরু আটক 

19

মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি, প্রতিনিধি:

 বান্দরবানের  নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) কর্তৃক চোরাচালানী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে গত এক সপ্তাহে (২৮ ফেব্রুয়ারি হতে ৬ মার্চ ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত) সর্বমোট ১৩২ টি বার্মিজ গরু উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে  আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

 বিজিবি ধারাবাহিক অভিযান কে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল ও খামারীরা । 

বিজিবি  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের  জানান, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নির্ঘুম রাতজেগে ঘনকুয়াশার মধ্যে শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে দেশ মাতৃকার সেবায় বিজিবি এর সদস্যগণ সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থেকে গবাদিপশুসহ সকল ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।

 এরই ধারাবাহিতকতায় মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার রিজিয়ন, সেক্টর কমান্ডার, রামু এবং অধিনায়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি এর বলিষ্ঠ দিক নির্দেশনায় গত এক সপ্তাহে ১৩২ টি বার্মিজ গরু আটক করেছে। উক্ত গরু গুলো কাষ্টম কর্তৃক নিলামের মাধ্যমে ১,৪১,৫৬,২৪৩/-(এক কোটি একচল্লিশ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার দুইশত তেতাল্লিশ) টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

সীমান্ত পথে গরু চোরাচালান রোধকল্পে নাইক্ষ্যংছড় ১১ বিজিবি কঠোর নজরদারী ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও যেকোন মূল্যে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি চোরাচালান প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতে মাদক ও চোরাচালান দমনে নিয়োজিত থেকে যেকোন আন্তঃ রাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বিজিবি কঠোর অবস্থানে থাকবে।

 গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে ১১ বিজিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 এই অবৈধ চোরাচালানের ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি  বিজিবি এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, অত্র এলাকায় চোরাচালান কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তিনি বদ্ধপরিকর বলে জানান।

 যে সকল ব্যক্তিবর্গ এধরণের চোরাচালানী কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং সে যেই হোক চিহ্নিত করতঃ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ বার্মিজ গরু, মাদকদ্রব্য পাচার, অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার/পরিবহন, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।