
মোঃ রাকিবুল হাসান, ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলা ভারতের সীমান্ত ঘেষা কৃষি নির্ভরশীল নদী বেষ্টিত এলাকা।
উক্ত উপজেলার মধ্য দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা কয়েকটি নদী এই উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছে। ঝিনাইগাতি উপজেলায় গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি নদীর উভয় পাশের বাধ এখনো সবগুলি মেরামত করা হয়নি। বর্ষা শেষ হয়েছে প্রায় ৬/৭ মাস হলো এখনো নদীর ভাঙ্গন গুলি মেরামত করা হয়নি। ফলে নদী ভাঙ্গন এলাকার বোর চাষিরা আতঙ্কে আছে। আগামী এক দু’ মাস পরেই শুরু হবে কাল বৈশাখি ঝড় তুফান। উল্লেখ্য কিছু কিছু ভাঙ্গন সরকারি ভাবে মেরামত করা হলেও এই সমস্ত মেরামতের কাজ নিরাপদ না বলে বোর চাষিরা জানায়।
চলতি বোর মৌসুমের ফসল এখন আগাম বন্যার হুমকির মূখে। কারন ক্ষতিগ্রস্থ বাধ গুলি সরকারি ভাবে মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। এই সমস্ত নদীর ভাঙ্গন গুলি এলাকাবাসী ও দরিদ্র কৃষকের পক্ষে মেরামত করা সম্ভব না। যদি নদী ভাঙ্গন গুলি আগাম বর্ষা আসার পূর্বেই মেরামত না করা হয়।
তাহলে অত্র এলাকার দরিদ্র ও প্রন্তিক চাষিদের কষ্টে অর্জিত উৎপাদিত বোর ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
ফলে কৃষকদের চলতি বোর ফসল আগাম বন্যার ঝুকির মুখে নিশ্চত ভাবেই পরছে বলে আশক্সখা করা হচ্ছে।
যে সমস্ত নদী গত বছর বন্যায় নদীর উভয় পাড় ভেঙ্গেছে সে সমস্ত নদী গুলো হলো মহারশি, সমেশ্বরী, কালঘুশা, অঞ্জনা, কর্ণঝুড়া ও ভোগাই নদী সহ কয়েকটি ঝুড়া প্রবাহমান। এই সমস্ত নদীর পাড় ভেঙ্গেই গত বন্যায় বহু জমির ফসল নষ্ট হয়েছে এবং জমিতে বালি পরে ফসলি জমি অকৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে।
ঐ সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ জমি এ বছর চলতি বোর ফসল চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি জমিতে বালি পরার কারনে। এতে কোটি কোটি টাকার জমি ও ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়। তাই আগামী বন্যায় যাতে কৃষকরে ফসল ও জমির ক্ষতি না হয় সেই দিকে লক্ষ রেখে দ্রুত তম সময়ে আগাম বন্যার পূর্বেই নদীর ভাঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্থ বাধ গুলি পূনঃ মেরামত অত্যান্ত জরুরি বলে সচেতন মহল মনে করে। অবিলম্বে গত বন্যায় নদী ভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা মেরামত করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন
করবেন। এলাকার কৃষকের চলতি বোর ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবেন এলাকার কৃষকদের দাবী ।