আদালতের নিদের্শ অমান্য করে অবৈধভাবে ইট পোড়ানো হচ্ছে

15


নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষেত কামারে ফলন নেই, ধূলায় ধোয়ায় বিবর্ণ হয়ে গেছে ফুলে সুশোভিত আম্রমঞ্জরী ও গাছের পাতা, জমির টপসয়েল বলতে কিছু নেই। এলাকাবাসী ভূগছে চর্মরোগ আর শ্বাসকষ্টে

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের কাঞ্চননগর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে ঝঅই, গঝণ, ইইঝ সহ ১৭ টি অবৈধ ইঁট ভাটা পরিদর্শন ও চিহ্নিত করেছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ এর তথ্যানুসন্ধান টিম।

মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ এর তথ্যানুসন্ধান টিম এলাকার কাঞ্চননগরে অভিযান চালান। এসময় সাথে ছিলেন বিপুল সংখ্যক স্থানীয় জনগণ, মিডিয়া কর্মী ।

তাঁরা জানান, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় টিকে থাকা এসব ইটভাটা মালিকরা এতই প্রভাবশালী যে তারা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশের তোয়াক্কা করে না। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ এর মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এক তথ্যানুসন্ধান টিম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে এসব অবৈধ ইঁট ভাটার পরিবেশ বিদ্বেষী চলমান তান্ডব চিহ্নিত করে উচ্চাদালতের আদেশের আলোকে তাদের উচ্ছেদ পূর্বক পরিবেশ বাঁচানোর জন্যে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তদন্তটিম বলেন, ক্ষেত কামারে ফলন নেই, ধূলায় ধোয়ায় বিবর্ণ হয়ে গেছে ফুলে সুশোভিত আম্রমঞ্জরী ও গাছের পাতা, জমির টপসয়েল বলতে কিছু নেই। এলাকাবাসী ভূগছে চর্মরোগ আর শ্বাসকষ্টে। পরিবেশ অধিদপ্তরের বা মোবাইল কোর্ট নির্লিপ্ত এসব এলাকায়। ভয়ে মূখ খুলতে পারে না এলাকাবাসী। অবিলম্বে এসব অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটা উচ্ছেদ না করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এ আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করবে জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব।

অনুরোপভাবে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে তথ্য অনুসন্ধ্যান করবে। এতে তা অবৈধ ভাবে ইটভাটার আইন অমান্য করে ইট পোড়ানো হলে, প্রশাসনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ আদালতকে অবহিত করবে।

ইট ভাটা পরিদর্শনকালে তথ্য অনুসন্ধান টিমের সদস্যগণ ছিলেন যথাক্রমে সংগঠনের মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, মানবাধিকার কর্মী কে এম শান্তনু চৌধুরী, রিদুয়ানুল করিম নাভিল,আহসান হাবীব,এম রহমান শাওন,ইয়াসির আরাফাত,এম নাজিমুদ্দিন, স্থানীয় তথ্য অনুসন্ধান কর্মী মো. রাজিব হোসেন রিফাত, নজরুল হোসেন শোকরিয়া প্রমুখ।