
নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল :- নিজস্ব প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভূমি জরিপ কারক আবুল কাশেম মিলন বাংলাদেশি বংশোদ্ভু লন্ডন নাগরিক প্রবাসী আব্দুর রউফের নিকট ৬০ লক্ষ টাকা পাবে বলে জানাযার সময় উপস্থিত এলাকাবাসীর সম্মুখে প্রমাণপত্র হাজির করেন, আব্দুর রউফ এর লাশ দাফনের বাধা প্রদানের চেষ্টা করেন ।
গতকাল ৩রা মার্চ বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকার একটি হাসপাতালে আব্দুর রউফ মৃত্যু বরন করেন। এবং জায়নামাযে বাধা প্রদানের চেষ্টা চালান। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে ও এনিয়ে এলাকাবাসীর সাথে ভূমি জরিপ কারক আবুল কাশেম মিলনকে প্রমাণপত্র নিয়ে গ্রামীণ সালিশে উপস্থিত থাকার আহবান জানান।
পরে তিনি এলাকাবাসীর সম্মানার্থে আগামী ১৮ই মার্চ স্থানীয় দরগা মসজিদের সামনে বসার সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে ভূমি জরিপ কারক আবুল কাশেম মিলনকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ও অনলাইনে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন মৃত আবদুর রউফের লোকজন। তিনি ভয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বলে ভূক্তভোগি আবুল কাশেম মিলন গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানান তাঁর পরিবারের সকলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ।
এ বিষয়ে তিনি থানায় একাধিক বার অভিযোগ করেছেন। এর আগে প্রাননাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন আবুল কাশেম মিলন। আবুল কাশেম মিলন দক্ষিণ কেরোয়ার বাসিন্দা ও পেশায় তিনি ভূমি জরিপ কারক। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার মামা বৃটিশ নাগরিক আব্দুর রউফ প্রায় ৭-৮ বছর পূর্বে তার সকল সয়-সম্পত্তি দেখা শুনার জন্য লিখিত চুক্তিমানা করে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন আমাকে।
এতে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালীরা আমার বিরদ্ধে বিভিন্ন ষড়সন্ত্র করতে থাকে। এসব বিষয়ে বিভ্রান্তিকর কিছু কথা বার্তায় মানষীক ভাবে হঠাৎ আমার মামা রউফ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সুযোগে ওই প্রভাবশালীরা মামাকে তাদের কাছে বন্ধি রেখে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ও অনলাইন পত্রিকায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ একরে পর এক প্রচার করতে থাকে। এবং মামাকে আত্মগোপনে রেখে, জোরপূর্বক উনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাড়ি লিখে নেয় বলে ভূমি জরিপ কারক আবুল কাশেম জানান। তিনি আরো বলেন অথছ আমি জীবনের সকল সঞ্চয় ও জমিন বিক্রি করা টাকা মামা আব্দু রউফ এর খেজুর তলার বাড়ী ৪তুর্থ তলায় উন্নতি করন সহ গ্রামের বাড়ীর উনার নিজ গৃহসহ রাস্তা ও জমি এর মাটি কেটে জমিন ক্রয় তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাদ্রার খরছ ও সাংসারিক খরছ আমাকে মিটাতে হয়েছে। জার সকল প্রমানাধি আমার কাছে আছে। বর্তমানে আমি যে বাড়িতে অবস্থান করছি, সেই বাড়িটি আমি কেনার জন্য মামার সাথে বায়না চুক্তি করেছি।
আমার কাছে সেই বাড়ির চুক্তিনামা দলিল সংরক্ষিত আছে। ওই কুচক্রী মহল আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বাড়ির আশেপাশে মহড়া দিতে থাকে।বর্তমানে আমি জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি বিষয়টি আমি রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এবং তিনি আমার এই বিষয়টি নিয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধান করার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
আমার মামাকে ওই স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল রাতের আধারে বাড়ি থেকে নিয়ে ঢাকা অজ্ঞাত স্থানে রেখে দেয়। এবং উনার সুস্থতার সুযোগ নিয়ে তড়িঘড়ি করে সকল সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেয়।