
মোঃ রাকিবুল হাসান, ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে সরিষা মাড়াই শেষে বাজারে বিক্রি করছে কৃষকেরা। প্রতি মণ শরিষা ৩২শ” থেকে ৩৫শ” টাকা দরে বাজারে বিক্রি করছে। বর্তমান আর্থিক সংকটের সময় শরিষা বিক্রির টাকা কৃষকদের জন্য অনেক সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
এতে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছে তেমনি দেশের তেলের চাহিদায় যুগান্তকারি ভূমিকা রাখছে কৃষকের উৎপাদিত শরিষা। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি জমিতে কৃষকেরা সরিষা চাষ করেছে। অত্র উপজেলায় গত বছর সরিষা চাষ হয়েছে প্রায় ৬শ” একর জমিতে আর এ বছর সরিষা চাষ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮শ” একর জমিতে।
কিন্তু আরো অনেক বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা সম্ভব। আমন ধান কাটার পর প্রায় ২ মাস সময় কৃষকের জমি পতিত পরে থাকে। এই পতিত জমি পরে থাকা ২ মাস সময়ের মধ্যে সরিষা চাষ করা এবং উত্তলণ করে শেষ করতে পারে। এর পর ঐ সমস্ত জমিতে বোর চাষ করতে কোন সমস্যা হয় না। এই ফাকা সময়ের ফসল ¯^ল্প সময়ে অল্প খরচে সরিষা চাষ করে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারে কৃষকেরা।
প্রতি একর জমি শরিষা চাষ করতে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা। প্রতি একরে শরিষা উৎপাদন হয়েছে ১২ মণ থেকে ১৫ মণ। এতে কৃষকের খরচ বাদে প্রতি একরে আয় থাকে ২৫/৩০ হাজার টাকা। এ বছর অনেক কৃষক সরিষা চাষ করেছে এবং গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা অনেক ভালো হয়েছে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ বছর ঝিনাইগাতি উপজেলায় গত বছরের চেয়ে ৩ গুন বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা নাদিয়া আক্তার, ফরহাদ হোসেন, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক, মো.আল-আমিন সহ কৃষি বিভাগের পরামর্শে উন্নত জাতের সরিষা চাষ করায় বাম্পার ফলন পেয়েছে। যে সমস্ত কৃষক ভালো জাতের সরিষা চাষ করেছে তারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে কৃষকের উৎপাদিত শরিষা দেশের তেল চাহিদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে বৈদেশিক তেল আমদানী নির্ভরতা কমলে দেশের কোটি কোটি টাকা বেচে যাবে।