ঝিনাইগাতীতে জমির বকেয়া খাজনা আদায়ে তৎপর ভূমি প্রশাসন

12

মোঃ রাকিবুল হাসান, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি ঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় সরকারি খাজনা আদায়ে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কৌশল। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবীর যোগদানের পর থেকেই ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা আদায়ে নিচ্ছেন একের পর এক উদ্দ্যোগ। সর্ব সাধারণের বকেয়া খাজনা আদায়ে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব আদায় হবে অপরদিকে জমির মালিকেরা মালিকানা নিয়ে জামেলা মুক্ত থাকবে।

জমির খাজনা আদায়ে ভূমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে মাইকিং করেন পুরো উপজেলা জুড়ে, তারপর চিঠির মাধ্যমে তলব দেয়া শুরু করেন বকেয়া মালিকদের। জমির মালিকদের সারা জাগাতে নানামুখি পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছেন।
এছাড়া ভূমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে মসজিদে মসজিদে খতিব/ইমামদের কে ইসলামের আলোকে জমির খাজনা প্রদান সম্পর্কে মুসল্লিদের সঠিক ব্যাখা করে বয়ান করার নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের তাদের জমি জমার সরকারের রাজস্ব (খাজনা) প্রদানে নানা
ভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অত্র উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারমান, মেম্বার ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে বকেয়া খাজনা পরিশোধ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

যাতে সর্ব সাধারণ তাদের জমি জমার বকেয়াসহ হালনাগাদ খাজনা পরিশোধ করতে আগ্রহী হয়। বর্তমানে ঝিনাইগাতী ভূমি প্রশাসনের নানামুখি উদ্দোগ্যের ফলে আগের চেয়ে বর্তমানে খাজনা আদায়ের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে আশানরূপ
খাজনা আদায় হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞ মহল।


সূত্রমতে জানা যায়, বিগত সময়ের চাইতে বর্তমান ভূমি
প্রশাসনের উদ্দ্যোগের ফলে জমির খাজনা পরিশোধসহ অন্যান্য জমি জমার জটিলতা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বর্তমানে কর্মরত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল কবীর এর উদ্দোগ্যে সুফল পাচ্ছে অত্র
উপজেলাবাসী। এতে অত্র উপজেলার জমি সংক্রান্ত নানা জটিলতা স্বল্প সময়ে কাটিয়ে মালিকগণ তাদের জমি জমার জামেলা মুক্ত করতে পারছে। তাই বর্তমানে একদিকে যেমন সকারের রাজস্ব (খাজনা) আদায় বৃদ্ধি পাচ্ছে পাশাপাশি জনগণের জমি জমার কাগজপত্র জামেলা মিটিয়ে নিতে পারছে।
উল্লেখ্য, নিয়মিত উদ্দ্যোগ হিসাবে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা আদায়ের মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। মেলায় কর দাতাদেরকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে আকর্ষণীয় পুরুষ্কার।