
হাতিয়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর দ্বিপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক কেন্দ্রের ফলাফল জালিয়াতি করে পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী করার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আবু সোলাইমান ও কথিত বিজয়ী সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শেফালী বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক আরিফ আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা অভিযোগ, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ তারিখে অনুষ্ঠিত নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ৯নং বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উক্ত ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে ২ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনে নয়ন বেগম (সূর্যমুখী ফুল মার্কা), শেফালী বেগম(হেলিকপ্টার মার্কা) ও নাছিমা আক্তার (বই মার্কা) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উক্ত নির্বাচনে ২ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য মোট পাঁচটি ভোট কেন্দ্র ছিল। প্রার্থী নয়ন বেগম অভিযোগ করেন যে চারুবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার নির্বাচনী প্রতীক সূর্যমুখী ফুলে ভোট পড়েছে ২৩১টি এবং প্রতিদন্ধী প্রার্থী শেফালী বেগমের হেলিকপ্টার প্রতীককে ভোট পড়েছে ৫০০টি ।
কিন্তু ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হেলিকপ্টার প্রতীকে ৫০০ ভোটেরস্থলে ৫৫০ ভোট দেখিয়ে পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ১২ ভোটে নয়ন বেগমকে পরাজিত দেখান এবং শেফালী বেগমকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এতে বিতর্কিত কেন্দ্রের পুন ভোট গণনার জন্য নয়ন বেগম বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত নোয়াখালী নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১৫ মে রায় ঘোষণা করেন।
উক্ত রায় পর্যালোচনায় দেখা যায়, চারুবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ভোট জালিয়াতির বিষয় প্রমাণিত হয়। আদালত কর্তৃক ৫ কেন্দ্রে ভোট গণনায় নয়ন বেগম (সূর্যমুখী ফুল মার্কা) পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৮ ভোট এবং শেফালী বেগম (হেলিকপ্টার মার্কা) পেয়েছেন ২হাজার ২২০ ভোট।
এ ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আবু সোলাইমান ( প্রধান শিক্ষক, জাহাজমারা উচ্চ বিদ্যালয়) ও প্রার্থী শেফালী বেগম পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে একে অপরকে লাভবান করা উদ্দেশ্যে প্রতারণা, জাল জালিয়াতি, ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার অপরাধে দুদকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।