
সোহেল সরকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংবাদদাতাঃ
বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধীনে আখাউড়া -আগরতলা সীমান্তের শূণ্যরেখায় পরিদর্শনকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান। এ সময় বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার আইজি সুমিত সরণ, ডিআইজি আরএস কর্ণওয়াল, ত্রিপুরা গুকুলনগর সেক্টর কমান্ডার রাথনেশ কুমারের সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যার বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বলেন, সীমান্তে কারো মৃত্যুই কাম্য নয়। আমরা সবাই চাই সীমান্ত হত্যার হার আরও নিচে নামিয়ে আনতে। বিজিবি-বিএসএফ দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত সম্মেলনগুলোতে এ সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে, বলে দাবি বিজিবি মহাপরিচালকের।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বলেছেন, সীমান্তে যেকোনো ধরনের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে বিজিবি। মাদকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে বিজিবিকে আরও বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান তার।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কোনো ধরনের মাদক যেনো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে বিজিবি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছি যাতে ভারত থেকে মাদক বাংলাদেশে কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে না পারে। বিজিবির পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরা সীমান্তের সাধারণ জনগণও সম্মিলিতভাবে কাজ করলেই মাদক চোরাচালান অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব। বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে মাদকে ধ্বংস না হয় সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সীমান্তপথে মাদক পাচার বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মহাপরিচালক আরো জানান দেশের পার্বত্য সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে বর্ডার রোড করা হয়েছে। ভবিষ্যতে দেশের অন্য সীমান্ত অঞ্চলগুলোতেও কাঁটাতারের বেড়ার পাশে সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এ সময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম এম খায়রুল কবির (এডিজি প্রশাসন), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কেএম আজাদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শহিদুল ইসলাম (সরাইল রিজিওন কমান্ডার), বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কেএম আজাদ, কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার মো. আবুল কালাম শামস উদ্দিন রানা প্রমুখ।