ঝিনাইগাতিতে গমের উৎপাদন ভালো দেখে কৃষকের মন বেজায় খুশি

25

মোঃ রাকিবুল হাসান, ঝিনাইগাতি (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে চলতি মৌসুমে উৎপাদিত গম এখন পরিপক্ক পর্যায়ে। আগামি ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে গম কাটা মাড়ায়ের কাজ শুরু হবে। গমের উৎপাদন ভালো দেখে কৃষকের মন খুশি।
বর্তমানে গমের বাজারও ভালো। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ফরহাদ হোসেন, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হকের কাছ থেকে জানা যায় বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বহু কৃষক অনেক জমিতে গম চাষ করেছে। কৃষকরা যে সমস্ত জাতের গম চাষ করেছে বারি-২৬, বারি-২৭, বারি-৩১, বারি-৩২, বারি-৩৩। সরকারি ভাবে কৃষি প্রণদনা হিসাবে বারি-২৮, বারি-৩০, বারি-৩৩ জাতের গম বীজ দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের দেওয়া
হয়েছে। বর্তমান গমের বাজার মূল্য গত বছরের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহ হয়ে অনেক জমিতে গম চাষ করেছে। গমের উৎপাদন ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা লক্ষ করা যাচ্ছে।
উৎপাদিত গম এখন পরিপক্ক পর্যায়ে চলে এসেছে ।আগামি ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে কৃষকেরা মাড়াই শুরু
করবে। ঝিনাইগাতি উপজেলার যে সমস্ত গ্রামে গম চাষ হয়েছে বনগাও, কালাকুড়া, চতল, দিঘিরপাড়, বনকালি, ধানশাইল, কাংশা, রাংটিয়া, ডেফলাই, ভালোকা, ফুলহারি, আইনাপুর, পানবর, বিলাশপুর, দুপুরিয়া ও ঝিনাইগাতি সদর এলাকা সহ আশপাশ আরো অনেক এলাকায়। প্রতি একর জমিতে গম চাষ করতে খরচ হয় ১২/১৫ হাজার টাকা। গম উৎপাদন হয় প্রতি একর জমিতে ৫০/৬০ মণ।


বর্তমার গমের বিক্রয় মূল্য প্রতি মণ ১৬/১৭শ” টাকা। এতে উৎপাদন খরচ মিটিয়ে অনেক টাকা লাভবান হবে কৃষক। গমের বাজার মূল্য ভালো থাকায় গম চাষিরা বেজায় খুশি। ইতি পূর্বে গম চাষিদের উৎপাদিত গম বাজারে বিক্রি করে খরচ মিটিয়ে লাভ হতো না। যে কারনে অনেক কৃষক গম চাষ থেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এখন গমের বাজার ভালো হওয়ায় অত্র এলাকার কৃষকরা আবারো
গম চাষের দিকে ঝুকেছে। দিঘিরপাড় গ্রামের গম চাষি নূর-ইসলাম , আব্দুল হালিম , রাশেদুজ্জামান, জবেদ আলী ও জনাব আলী সহ আরো অনেক গম চাষি জানায় এ বছর আমরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনেক জমিতে গম চাষ করেছি। গমের উৎপাদনও ভালো হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের আশা করছি।
বর্তমানে গমের বাজার ভালো থাকায় আমাদের চাষাবাদ কৃত গম থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবো। যদি গমের বাজার ভালো থাকে অত্র অঞ্চলের কৃষকেরা আবারো গম চাষে আগ্রহি হয়ে উঠবে।