কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও আজ কমেছে।
জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শীত নিবারণে জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মদনমহন এলাকার মোছা. জমেলা বেওয়া বলেন, এতো ঠান্ডা যাইছে কেউ এলাও আমাক কম্বল দেয় নাই। খুব একটা সমস্যায় আছি। এই সময় কম্বল পাইলে খুব উপকার হইবে ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
