
কুড়িগ্রামের রৌমারীর চরাঞ্চৌলে অনাবাদি জমিতে বাদাম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। এ মৌসুমে ১৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। চাষ হয়েছে প্রায় ১৬৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর বাদামের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
চরাঞ্চলে বাদামের মৌসুম শুরু হয় সেপ্টেম্বরে। বাদাম তোলা শেষ হয় ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে।
সরেজমিনে উপজেলার বন্দবেড়, চরশৌলমারী, ঘুঘুমারী ও যাদুরচর ইউনিয়নের চরগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে বাদামের গাছ। সেখানে কৃষকরা বাদাম তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চরশৌলমারী গ্রামের কৃষক জয়নাল হক বলেন, ‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে চলতি মৌসুমে আমি এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। বোনা থেকে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এ বছর বাজারে কাঁচাবাদাম মণপ্রতি ৩ হাজার ৯০০ টাকা, শুকনা বাদাম ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাদামের দাম ভালো থাকায় আমার লাভ হয়েছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।’
প্রতিবছর বাদামের চাষ করেন ঘুঘুমারী গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এ মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বাদামের বেশি ফলন হয়েছে। দামও এবার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আগামী বছর ৭ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করব।’