কৃষি র্নিভর বাংলাদেশে কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলেও
দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চলের ঘোড়াঘাট, বিরামপুর, হিলি হাকিমপুর, নবাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ীসহ ৫ উপজেলার ৩১টি ইউনিয়নের উপ-সহকারি র্কমর্কতাদের বিএস কোয়াটার গুলো র্দীঘ ৪০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি।এ যেন দেখার কেউ নেই।
বিএস কোয়াটার গুলো।জরার্জীণ হয়ে বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে আছে ইউনিয়নের বিএস কোয়াটার।সংস্কারের ◌্অভাবে ব্যবহার অনপোযোগী হওয়ায় ইউনিয়ন উপ-সহকারী র্কমর্কতারা (বিএস) বিএস র্কোয়াটারগুলোতে বসবাস করছেন না। রয়েছে। এই কোর্য়াটারগুলোর বেশির ভাগই এখন পরিত্যাক্ত। তাই এগুলোতে
বসছে না কোন উপ-সহকারী কৃষি র্কমর্কতা। যার ফলে কৃষি সেবা গ্রহন থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকগণ। ঠিক তেমনি পরিত্যক্ত ভবনগুলো মাদক ও অসামাজিক র্কাযকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অনেকটাই ফাকা ও র্নিজন হওয়ায় তা বিভিন্ন জীবজন্তুর আশ্রয়স্থল, অপরাধীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে।
র্দীঘদিন সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোর্য়াটার গুলোতে নজরদারী না রাখায় চুরি হয়ে গেছে এগুলোর দরজা-জানালা। এমনকি এসব ভবন থেকে ইট খুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কোন কোন কোর্য়াটার এলাকার মাটিও কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যদিও কৃষি র্নিভরশীল দেশ বাংলাদেশ। র্বতমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন র্কমকান্ড দৃশ্যমান হলেও এ উপজেলায় বিএস কোর্য়াটারগুলোতে তেমন উন্নয়নের ছোয়াঁ লাগেনি।স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি ও ভাল বীজ সরবরাহের লক্ষে মাঠ র্পযায়ে কৃষি র্কমর্কতাদের থাকার কথা থাকলেও এসব কোর্য়াটারগুলোতে উপ-সহকারী কৃষি র্কমর্কতা না থাকায় তাদের কৃষি বিষয়ে খোজ খবর নিতে উপজেলা সদরে যেতে হয়।
এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি র্কমর্কতা প্রবীণ ব্যাক্তি মোমদেল হোসেন জানান, এ গুলোতে বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা কষি বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তির পরার্মশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।বেশীর ভাগ ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে কয়েকটি উপযোগী হলেও সেখানে কেউ থাকেন না।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সনের দিকে ত কালিন সরকার এই ভবনগুলো প্রথমে সিড গোডাউন (বীজাগার) হিসেবে র্নিমাণ করে।পরর্বতীতে এই র্কমসুচি বাতিল করা হলে সরকার সিড গোডাউনগুলো ১৯৮০ সালের দিকে ইউনিয়ন র্পযায়ে র্কমরত কৃষি বিভাগের মাঠ র্পযায়ের র্কমী- ব্লক সুপার ভাইজারদের (র্বতমানে উপ-সহকারী কৃষি র্কমর্কতা) বসবাসের জন্য সংস্কার করে কোর্য়াটারে পরিনত করা হয়।
মাত্র ৫০ টাকা ভাড়ায় উপ-সহকারী কৃষি র্কমর্কতারা এসব কোর্য়াটারে থাকতেন। এসব ব্যয়বহুল কোর্য়াটার গুলো মাঠ র্পযায়ে র্কমরত কৃষি বিভাগের ব্লক সুপার ভাইজারদের (বিএস) আবাসিক এবং অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন না। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তি ও ভাল বীজ সরবরাহের লক্ষে মাঠ র্পযায়ে কৃষি র্কমর্কতাদের কোর্য়াটারগুলোতে থাকার কথা থাকলেও এসব উপ-সহকারী কৃষি র্কমর্কতা কোর্য়াটারগুলোতে
না থাকায় তাদের কৃষি বিষয়ে খোজ খবর নিতে উপজেলা সদরে যেতে হয়। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি র্কমর্কতারা জানান, সংস্কারের অভাবে এ গুলোতে বসবাস করা যাচ্ছে না। বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ সব পরিত্যাক্ত কোর্য়াটার ভেঙ্গে ওই স্থানে ইউনিয়নের কৃষকদের
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও র্কমচারী র্কমর্কতাদের আবাসিক ভবন তৈরির
পরিকল্পনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি সরেজমিন কয়েকটি কোর্য়ার্টাসে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার
রানীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত বিএস কোর্য়ার্টাসের অবস্থা খুবই করুণ।
সেখানে জনৈক ব্যক্তি দখল করে বসবাস করছেন। বিএস কোর্য়াটার এর র্পাশ্বে আর্বজনার স্তুপ। র্নিমিত ইউনিয়ন বিএস কোর্য়াটার একটি বাথরুম,একটি রান্নাঘর ও দুটি কক্ষ রয়েছে।
প্রথম কয়েক বছর বিএসরা অবস্থান করছিলেন। পরে তারা কোর্য়ার্টাস ছেড়ে বসবাস শুরুকরেন নিজ বাড়ীতে। তখন থেকে এগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। কোর্য়ার্টাসে বিএসরা থাকলে কৃষকরা উপকৃত হবে। তাদের কাছ থেকে উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও কৃষি বিষয়ে পরার্মশ নেয়া যাবে। ভবন গুলো সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রফিকুজ্জামান জানান,এসব পরিত্যাক্ত কোর্য়াটার ভেঙ্গে ওই স্থানে ইউনিয়নের কৃষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও র্কমচারী র্কমর্কতাদের আবাসিক ভবন তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে এ বিষয়ে কোন চিঠি পত্র পাওয়া যায়নি।