জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় সৌদি আরব থেকে অসহায় দুস্থ মানুষের জন্য পাঠানো দুম্বার মাংস জনপ্রতিনিধি ও কিছু সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারী) গোপনে দুম্বার মাংসের কাটুন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেওয়া হয়েছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে,'উপজেলায় অসহায় দুস্থ মানুষের বিতরণের চিঠিতে ৩০ কাটুন বরাদ্দ ছিল। প্রতিটি কার্টনে প্রায় ৩০ কেজি করে মাংস থাকার কথা। সেই হিসেবে ৯০০ কেজি মাংস ছিল। প্রতি কার্টুনে ১০ টি করে প্যাকেট ছিল। প্রত্যেকটি প্যাকেটের ওজন ছিল ৩ কেজি করে।
মেলান্দহ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে,'উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে ১১ কার্টুন দেওয়া হয়েছে, দুই পৌরসভায় ২ কাটুন, জামিয়া হুসাইনিয়া পুরুষ ও মহিলা মাদ্রাসায় ২ কার্টুন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস ও উপজেলা পরিষদে মিলে ২ কার্টুন দেওয়া হয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নে অফিসের তথ্য অনুযায়ী ১৭ কাটুন মাংস পেয়েছিল তা বিতরণ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত বাকি কার্টুনের মাংস পেয়েছেন কিনা তা নিয়ে কিছু বলেননি।
তবে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন বলছেন,'যতগুলো বরাদ্দ ছিল তা দেওয়া হয়েছে, তাঁর চেয়ে কম দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক সরকারি কর্মচারী বলেন,'চিঠিতে যা ছিল তাঁর থেকে একটু কম এসেছে, এসিল্যান্ড অফিস, উপজেলা পরিষদ ও ইউএনও অফিসে ২ কার্টন দিয়েছিল সবাই অল্প করে নিয়েছে। মিথ্যা বলে কি করব আমিও একটু পাইছিলাম।
চরবানীপাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন ভুট্টু বলেন,'এক কার্টুন পেয়েছিলাম মেম্বারদের দিয়ে দিয়েছি। আমি এর আশে পাশেই ছিলাম না। মেম্বারই ১২ জন ও গ্রাম পুলিশ ১০টা এখানে সাধারণ মানুষরে কেমনে দিবে। মেম্বারদের বলেছি যেমনে ভালো হয় দিয়ে দিও।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
একেএম লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন,’খুব সম্ভবত ২৪ কার্টুন মাংস পেয়েছিল।যতটুকু জানি ১১টি ইউনিয়ন ১১টি ও দুইটি পৌরসভায় ২ কার্টুন , মেলান্দহ বড় মাদ্রাসায় ১ কার্টুন, গুচ্ছগ্রামে ১ কার্টুন, এছাড়া উপজেলা অফিসের পিয়ন এর ১টি কার্টুন ভাগাভাগি করে নিয়েছে।