নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
ভিকটিম ইমরান হাওলাদারকে (৩২) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী কচুরিপানা ভর্তি ডোবার পানিতে ফেলে দেয় অজ্ঞাতনামা খুনীরা।
এ ঘটনায় ২ জন আসামির নাম পরিচয় জানা গেলেও বাকিরা ছিল অজ্ঞাত। পরে মামলা হলে সিআইডির তৎপরতায় ও ডিএনএ টেস্টে বের হয়ে আসে অজ্ঞাতনামা খুনীর পরিচয়। তথ্য বিশ্লেষণে সনাক্ত করা হয় আসামির অবস্থান। গ্রেফতার করা হয় অজ্ঞাতনামা খুনী মো. সেলিম মাদবর ওরফে রফিক (৪৯),কে।
মঙ্গলবার (২৪জুন) ঢাকা কার্যালয়ের সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, টোল উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জেরে গত বছরের (২৪ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভাধীন নান্দিকাঠি গ্রামের ভিকটিম ইমরান হাওলাদারকে (৩২) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী কচুরিপানা ভর্তি ডোবার পানিতে ফেলে দেয় খুনীরা। তাদের হামলায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন ভিকটিম ইমরান এর স্ত্রী ফাহিমা বেগম। পরবর্তীতে নিহত ইমরান এর পিতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার বাদি হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই সিআইডি’র ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। জব্দকৃত আলামত পরীক্ষার নিমিত্ত ডিএনএ ল্যাব সিআইডি সদর দপ্তর ঢাকায় পাঠানো হলে ডিএনএ বিশেষজ্ঞগণ ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত আলামত সমূহ পরীক্ষা করে অজ্ঞাতনামা একজনের ডিএনএ’র অস্তিত্ব পায়। ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিং এর মাধ্যমে জানা যায় তার নাম মো. সেলিম মাদবর ওরফে রফিক(৪৯) । তাকে গ্রেফতার করতে সিআইডি’র এলআইসি শাখা বিভিন্ন ভাবে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তর অবস্থান সনাক্ত করে এলআইসি শাখার একটি চৌকস টীম ডিএমপি’র ডেমরা ধানাধীন সারুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে।
নথিপত্র পর্যালোনায় জানা যায়, আসামির বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ২ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বাড্ডা থানার মামলায় মো. সেলিম মাদবর এর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে এজাহারনামীয় ১ নং অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদার বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করলে ডিএনএ বিশেষজ্ঞগণ অভিযুক্তের ডিএনএ প্রোফাইল প্রস্তুত করেন এবং পরীক্ষান্তে ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত আলামতের সাথে অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদারের ডিএনএ ম্যাচিং পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত মো.সেলিম মাদবর ওরফে রফিককে (৪৯)কে যথা নিয়মে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বলেও জানান তিনি।
ডিআই/এসকে