
সদ্য সমাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন জাপাসহ ৫ প্রার্থী। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (লাঙ্গল), ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে আবুল হাসানাত আমিনী (মিনার), তৃণমূল বিএনপি নেতা ও এই আসনের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও একাধিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ (ফুলের মালা) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম)। গত ৭ জানুয়ারি (রবিবার) অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই ৫ প্রার্থীর কেউই জামানত ফিরে পাওয়ার মতো ভোট পাননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেজবা উল আলম ভূঁইয়া।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন। ১৩২ কেন্দ্রে ভোট কাষ্ট হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ টি। মোট প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। আইন হচ্ছে কাষ্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেলেই প্রার্থী জামানতের টাকা ফেরত পাবেন। এর চেয়ে কম পেলে জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না। এই আসনে কাষ্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটের পরিমাণ ১৮ হাজার ৮৬৭। যা ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই পাননি।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের ৩ হাজার ৪০৮ ভোট। গত বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই আসনের উপনির্বাচনেও জাপা’র প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী ৩ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছিলেন। এছাড়া ৪ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে জামানত হারানোর তালিকায় রয়েছেন তৃণমুল বিএনপি’র প্রার্থী (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী (আম) ৩৭৯ ভোট, ইসলামি ঐক্যজোট (মিনার) ৯৯৪ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (ফুলের মালা) ৫২২ ভোট। বিধি মোতাবেক এই পাঁচ জনের কেউই জামানত পাচ্ছেন না।