ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স:)এর জীবনী
ভারতে পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশি নারীকে ৫ বছর পর দেশে ফেরত
বাগমারা ইজরাইল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে পণ্য বর্জনের আহ্বান
নড়াইলের হাসিম মোল্যা হত্যা মামলার ৮ আসামি গ্রেফতার
রূপগঞ্জে পূর্বাচল টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
আত্রাইয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
২৩ বছর পর পবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ‘মুক্তমঞ্চ’ “সংস্কৃতি চর্চায় খুলছে নতুন দিগন্ত”
বাড্ডা থানা যুবলীগের আহবায়ক গলাকাটা কাউসার গ্রেফতার
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা,কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও রেশন পরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন করলো আনসার
বসুন্ধরায় নারীর মরদেহ উদ্ধারে গিয়ে দুই মণ গাঁজা পেল পুলিশ
এবার মোহাম্মদপুর থানার মামলায় গ্রেফতার প্রতারক সিকদার লিটন
পহেলা বৈশাখের পরে মিরপুরে ফুটপাত ও সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান
ডালিয়ার ১৪ বিয়ে: প্রতারণা চলমান
কালিগঞ্জ পিএফজি’র সম্মিলিত কার্যক্রম অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সভা 

স্বামী কর্তৃক হামলার অভিযোগে ঝালকাঠিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠিতে স্বামী কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিতা স্ত্রী মোসাম্মৎ ডলি আক্তার (৩০)। দ্বিতীয় স্ত্রী মিম্মি আক্তার রিয়া’কে নিয়ে প্রথম স্ত্রী ডলি ও তার নয় বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেনিতে পড়ুয়া শিশু কণ্যা জিনিয়া ইসলামকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। অভিযুক্ত স্বামী সৈয়দ জুলহাস ঝালকাঠি সদরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার লাটিমসার গ্রামের আব্দুস সত্তারের ছেলে। জুলহাস বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে সংসার করেন বলেও জানাগেছে।

শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম এর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত যে বক্তব্য পরে শুনান ডলি আক্তার, তাতে লিখা ছিলো, ২০১৩ সালের জানুয়ারীতে জুলহাসের সাথে ডলির আনুষ্ঠানিক বিবাহ হয়। বিয়েতে জুলহাসকে ৩ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেয় ডলির বাবা আব্দুল রশিদ খান।

পরের বছর ২০১৪ সালে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। এর দের বছর পরে ২০১৬ সালে ডলির বাবার পেনশনের টাকা থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ধার বাবদ চেয়ে নেয় জুলহাস। শশুরকে ধারের টাকা ফেরৎ না দিয়ে আরো ২ লাখ টাকা ঠিকাদারী কাজের জন্য দাবী করেন। এবার স্ত্রী এবং শশুরকে টাকার জন্য চাপ প্রয়রয য়োগ করতে থাকেন জুলহাস। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে দ্বিতীয় বিবাহ করেন জুলহাস।

এবার জুলহাসের বাড়ির পাশের এলাকা বীরকাঠি গ্রামের শাহজাহান মীরের কন্যা মিম্মি আক্তার রিয়াকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বিবাহের ঘটনা জানাজানি হলে স্বামীর সাথে দূরত্ব সৃষ্টি এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে প্রথম স্ত্রী ডলির সাথে। বর্তমানে নয় বছরের কণ্যা সন্তানকে নিয়ে ডলি থাকেন তার বাবার বাড়িতে। আর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে জুলহাস থাকেন তার নিজ বাড়িতে। তাদের কণ্যা জিনিয়া ইসলাম মায়ের কাছে থেকে ঝালকাঠি সরকারী হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।

এদিকে জুলহাস তার প্রথম স্ত্রী ও কণ্যার ভরণপোষন বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে শালিস বৈঠক করেও কোন সুরাহা হয়নি। তবে সুরাহা পেতে ঝালকাঠি আদালতে একটি মামলা করেছেন ডলি আক্তার। যা বর্তমানে চলমান। আদালতের মামলা তুলে নেয়ার জন্য ডলিকে মারধরসহ বিভিন্ন সময়ে নানা রকম অত্যাচার এবং হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে স্বামী জুলহাস।

সংবাদ সম্মেলনে ডলি আক্তার বলেন, ‘চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঝালকাঠি কামারপট্টি সড়ক দিয়ে হেটে যাওয়ার পথে আমার স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিম্মিকে নিয়ে আমাকে ও আমার মেয়েকে প্রকাশ্যে মারধর করে।তাদের এলোপাথারী আঘাতে আমার মেয়ে জিনিয়া ইসলামের একটি দাঁত পড়ে যায় এবং রক্তাক্ত জখম হয়। আর আমার শরীর ও মুখ মন্ডলে জথম হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ডলিআক্তার বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে ঝালকাঠি থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেন নাই। বর্তমানে আমাকে এবং আমার মেয়েকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভয়ভীতির মধ্যে জীবন যাপন করছি।’

শেয়ার করুনঃ