জামালপুরের ইসলামপুরে গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে নিজের ভোট দিলেন জামালপুর-২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল।
আজ সকাল ৯টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।
এ সময় ফরিদুল হক খানের সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দলীয় নেতাকর্মীসহ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।সকাল ৯ টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। এর পর তাঁকে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। তিনি কালো কাপড়ে ঘেরা গোপন কক্ষে না গিয়ে ব্যালট বাক্সের পাশে ব্যালট পেপার রেখে নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। এর পর তিনি ব্যালট পেপার ভাঁজ করে ব্যালট বাক্সে ফেলেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের সঙ্গে বার বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।
সিরাজাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান বলেন, 'ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এই কেন্দ্রের ভোটার। তিনি সকাল ৯টার দিকে ভোট দিতে আসেন। তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন। আমিও সেখানে ছিলাম। তিনি প্রকাশ্যে ভোট দেননি। তিনি ব্যালট বাক্সের পাশে ব্যালট রেখে সিল দিয়েছেন।'
এমন কাজ নির্বাচন আচরণ বিধি ভঙ্গের মধ্যে পড়ে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, 'ভোট দেওয়ার জন্য গোপন কক্ষ রয়েছে। একজন ভোটার প্রকাশ্যে ভোট দিতে পারেন না। এটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে।'
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন, এটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'এই বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় জন প্রার্থী।