পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম। হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে দক্ষিণের এই জেলায়। ইতিমধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে একজন এবং অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
পিরোজপুর-১ আসনটি পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল। গত নির্বাচনে এবং এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি একেএমএ আউয়াল। নির্বাচনী কৌশল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অন্যান্য আসনের মতো এ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন একেএমএ আউয়াল। তিনি ঈগল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দিনের সভাপতি হওয়ায় নির্বাচনী এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বেশিরভাগই তাঁর নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন।
নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে এ আসনটি চিহ্নিত করেছে।
এদিকে পিরোজপুরে বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও হাউজিং এস্টেটসহ বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ভোট চাইছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শম রেজাউল করিম। পদ্মাসেতুসহ জাতীয় উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আবারও ভোট চাইছেন তিনি। নির্বাচনী এলাকার নিজ উপজেলা নাজিরপুরে তাঁর একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। তবে পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানিতে কিছুটা পিছিয়ে আছেন।