রফিকুল ইসলাম রনজু (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মোছাঃ লাভলী বেগম (২৭) (মানুষিক ভারসাম্যহীন), স্বামী: মোঃ সামাদ মিয়া (৫০), পিতা- মৃত:পেনাত উল্লা, গ্রাম: বানুরখামার (আমীনমোড়), ওয়ার্ড নং: ০৭, পৌরসভা: নাগেশ্বরী, উপজেলা: নাগেশ্বরী, জেলা: কুড়িগ্রাম। সেই মানসিক ভারসাম্যহীন লাভলী বেগম এবার নিখোঁজ হয়েছে গত কয়েকদিন থেকে।
মানুষিক ভারসাম্যহীন লাভলী বেগম গত- ২০-০৬-২০২৫খ্রিঃ বিকাল ৩টার সময় তার স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এখনো তাকে পাওয়া যায়নি। তার গায়ের রং শ্যামলা হারিয়ে যাওয়ার সময় পরনে ছিল প্যটিকোট ও গায়ে মেছকি। ছবি সংযুক্ত। কেউ কোন সন্ধান পেলে নিম্নে নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো:
মোঃ সামাদ মিয়া অথবা শহিদুল ইসলাম- 01321513976
অথবা,এম এস সাগর, সভাপতি- প্রেসক্লাব উত্তর ধরলা, বানুরখামার (লেকসিটি), নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম। 01711753599
জানা গেছে, “কুড়িগ্রামে স্বামীর নির্মম অত্যাচারে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এখন পাগল লাভলী বেগম’ শিরোনামে গত; ২২-০৩-২০২৫খ্রিঃ এটিএন নিউজে একটি (প্যাকেজ) সংবাদ প্রচারিত হলে মানসিক ভারসাম্যহীন ও অন্তঃসত্তা লাভলী বেগমের সন্তানপ্রসব ও উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ। নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত- ১৫-০৪-২০২৫খ্রিঃ লাভলী বেগমের এক পুত্র সন্তান প্রসব হয় এবং লাভলীর মানুষিক স্মৃতি কিছুটা ফিরে আসে। (লাভলী বেগম (২৭), পিতা- মৃত: বাবলু মিয়া, মোছা: সিতারা বেগম, গ্রাম- সটিবাড়ী বড়দারগা, উপজেলা-পিরগঞ্জ, জেলা- রংপুর) নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ এর সার্বিক সহযোগিতায় লাভলী বেগম ও তার শিশু সন্তান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (নয়ন) ভবিষ্যত ভালো থাকার জন্য লাভলী বেগমের সাথে গত-২৪-৫-২০২৫খ্রিঃ মোঃ সামাদ মিয়া, গ্রাম: পিতা- মৃত:পেনাত উল্লা, গ্রাম: বানুরখামার (আমীনমোড়), ওয়ার্ড নং: ০৭, পৌরসভা: নাগেশ্বরী, থানা: নাগেশ্বরী, জেলা: কুড়িগ্রাম বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং সকল অর্থ ব্যয় করেন নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ। নাগেশ্বরী সমাজ সেবা অফিসার, উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বিবাহের পর লাভলী বেগম কে স্ত্রী ও শিশু সন্তান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (নয়ন) কে নিজের পুত্রের পরিচয় দিয়ে ঘরে তোলেন সামাদ মিয়া।