ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ঘোড়াঘাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রশিক্ষণ র্কমশালা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় মিডিয়া কাপ ফুটবল মাঠে প্রিন্টের আধিপত্য, হার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার
মোংলায় বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৩
মোরেলগঞ্জে বিএনপি’র সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
তানোরে মন্দিরের সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সেনের বাজার জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু বকর সিদ্দিককে বিদায় সংবর্ধনা
রাজাপুর সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়নমূলক কর্মশালা
যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের অভিযানে অর্ধশত চোরাই মোবাইলসহ দুজন গ্রেফতার
নাইক্ষ্যংছড়িতে পানিতে ডুবে এক মাদ্রাসা ছাত্রের করুণ মৃত্যু
মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলবাসে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বাস খাদে, অল্পের জন্য রক্ষা শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা
তানোরে থাকা খাওয়া ফ্রি দরিদ্র-আদিবাসী নারীদের শিক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে মহিলা কলেজ
ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি
পটুয়াখালী সদর উপজেলার নতুন কৃষি অফিসারের সাথে অন্য স্টাফদের মতবিনিময় সভা
কালীগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন
শেরেবাংলা নগরে কোস্ট গার্ডের অগ্নীনির্বাপনী মহড়া বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সিরিজ ডাকাতি, চার মামলার রহস্য উদঘাটনে গ্রেফতার ১০

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি বাড়িতে সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চক্রের সর্দার ইলিয়াস (৪৮) ওরফে ‘মাস্টার’ সহ মোট ১০জনকে গ্রেফতার করেছে কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ। চক্রটি পুলিশের চোখকে ফাকিঁ দিতে মাছ ধরার জাল সাথে রাখত এবং পুলিশের টহলটিম বা চেকপোস্টে ধরা পড়লে মাছ ধরতে যাচ্ছে জানাতো বলে জানাগেছে।

গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (০২জানুয়ারি) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইলিয়াস ওরফে ‘মাস্টার’ (৪৮), শাহিন ওরফে ভাগিনা (২৮), সোহেল (৪০), বাবুল (২৪), আসাদ (৪৩), রাশেদুল ওরফে বিটু (৩০), ওহাব ওরফে নানা(৬২), সামাদ (৫০), দীপু (২০) এবং মকবুল ওরফে মঙ্গল (২৭)।
ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে দূর্ধর্ষ একদল ডাকাত কেরাণীগঞ্জের বলসুতা ও অভ্রখোলা এবং দক্ষিণ কেরাণীঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাড়িতে সিরিজ ডাকাতি করে আসছিলো। সশস্ত্র এই ডাকাতদল গভীর রাতে বাড়ীর গ্রিল কেটে ঢুকে পড়ে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাড়ীর সকলকে জিম্মি করে ফেলে। বাড়ীর পুরুষ ও নারী সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেধেঁ ফেলে। তারপর ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা মুহুর্তের মধ্যে বাড়ীর আলমিরি, শো-কেজসহ সবকিছু ভেঙে মূল্যবান স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও দামী কাপড়-চোপড় এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়।

পরে ডাকাতি শেষে বাড়ীর সবার মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাইরে ফেলে দিয়ে যায়। কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদল ডাকাতি করে ফেরার সময় স্থানীয়দের বাধাঁর সম্মুখীন হলে একের পর এক ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। দুর্ধর্ষ এইসব ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয় ডাকাত দলের সর্দার যাকে ডাকাত দলের সদস্যরা ‘মাস্টার’ বলে সম্মোধন করে।

ভুক্তভোগীরা জানায় ডাকাত দলের সদস্যরা যে যা খুজেঁ পায় (স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা) সব তাদের ‘মাস্টারের’ কাছে নিয়ে জমা দেয়।

এ ঘটনায় উদ্ধতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে টিম গঠন করে একটি তদন্ত দল ডাকাত ‘মাস্টার’ গ্রুপকে গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করে।

তদন্ত টিম প্রতিটি ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয় যে, ডাকাত সর্দার ‘মাস্টার’ এর নেতৃত্বে একটি ভয়ংকর ডাকাতদল সবগুলো ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। একপর্যায়ে তদন্ত দল তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত দুর্ধর্ষ এই ডাকাতচক্রকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ডাকাতদলের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনাগুলোতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা পুলিশের চোখকে ফাকিঁ দেওয়ার জন্য মাছ ধরার জাল সাথে রাখে এবং কোথাও পুলিশ টহলটিম বা চেকপোস্টে ধরা পড়লে পেশায় জেলে এবং মাছ ধরতে যাচ্ছে বলে জানাতো।

গ্রেফতারকৃত ডাকাতদলের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ডাকাত দলের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার ও ডাকাতির অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ