ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
ঘোড়াঘাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রশিক্ষণ র্কমশালা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় মিডিয়া কাপ ফুটবল মাঠে প্রিন্টের আধিপত্য, হার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার
মোংলায় বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতির ঘটনায় আটক ৩
মোরেলগঞ্জে বিএনপি’র সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন
তানোরে মন্দিরের সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সেনের বাজার জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু বকর সিদ্দিককে বিদায় সংবর্ধনা
রাজাপুর সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়নমূলক কর্মশালা
যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের অভিযানে অর্ধশত চোরাই মোবাইলসহ দুজন গ্রেফতার
নাইক্ষ্যংছড়িতে পানিতে ডুবে এক মাদ্রাসা ছাত্রের করুণ মৃত্যু
মিরসরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা স্কুলবাসে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় বাস খাদে, অল্পের জন্য রক্ষা শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা
তানোরে থাকা খাওয়া ফ্রি দরিদ্র-আদিবাসী নারীদের শিক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে মহিলা কলেজ
ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি
পটুয়াখালী সদর উপজেলার নতুন কৃষি অফিসারের সাথে অন্য স্টাফদের মতবিনিময় সভা
কালীগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন
শেরেবাংলা নগরে কোস্ট গার্ডের অগ্নীনির্বাপনী মহড়া বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ট্রাক চালকের নেতৃত্বে মহাসড়কে ডাকাতি

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে ডাকাতির অভিযোগে সর্দারসহ ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছ র‍্যাব।

র‍্যাব বলছে, দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার আবুল ট্রাক চালকের ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিলো। পাশাপাশি তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছে।

গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলো- আবুল হোসেন (৩৫), রহমত আলী (২৮), জসিম মিয়া (৩৩), নয়ন মিয়া (২৪), মো. ইব্রাহীম (২৬), মো. ইদ্রিস (২৩), মো. মাসুদ রানা (২৬), মো. কফিল উদ্দিন (৩২), হাসান আলী (২৩), জুয়েল (৩৫), মো. আলমাস (২৭)।

গত ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি পৃথক অভিযানে রাজধানী কদমতলী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় ডাকাত সদস্যদের কাছ থেকে ডাকাতি করে নেওয়া এক টি পিকআপসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুইটি গাড়ি চাপাতি, ছুরি, চারটি গামছা, তিনটি রশি, ১১টি মোবাইল ফোন, একটি হাত ঘড়ি ও ৭ হাজার টাকাসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার ( ২ জানুয়ারি ) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থেকে নোয়াখালীগামী কনস্ট্রাকশন এডমিক্সারবাহী একটি ট্রাক কুমিল্লা মহাসড়কে গতিরোধ করে চালককে মারধর ও অস্ত্রের মুখে মালামালসহ গাড়ি ছিনতাই করে নেয়। এই ঘটনায় লামাই থানায় মামলা দায়ের করলে ছায়া তদন্তে নামে র‍্যাব। পরে পৃথক তিন অভিযানে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

অধিনায়ক আরিফ বলেন, দুর্ধর্ষ এই ডাকাত দলের সদস্যরা রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। তারা দৃশ্যমান পেশা হিসেবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করলেও ডাকাতিই তাদের মূল পেশা। দলটির সর্দার আবুলের নেতৃত্বে মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনে ডাকাতি, বাসে ডাকাতি, ঘরবাড়ি ও দোকানে ডাকাতি ও প্রবাসী যাত্রীদের টার্গেট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত সদস্যরা জানায়, মহাসড়কে নির্জন কোন স্থানে এসে টার্গেটকৃত গাড়িটিকে ওভারটেক করে গতিরোধপূর্বক গাড়িতে থাকা ড্রাইভারসহ সকলকে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, সুইচ গিয়ার, চাপাতি, স্টীলের পাইপ ইত্যাদি দ্বারা মারপিট করে ও প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গাড়ি এবং মালামাল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। যখন মহাসড়কে ডাকাতি করা সম্ভব না হয় তখন বাড়িঘর এবং দোকানপাটে ডাকাতি করে। রাজধানীর কদমতলী থানার এলাকায় একটি পণ্যবাহী গাড়ি ডাকাতি করে নেওয়া পিকআপ এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও সরঞ্জামাদিসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ডাকাত সর্দার আবুলের বিষয় র‍্যাব-৩ অধিনায়ক বলেন, আবুল হোসেন পেশায় একজন ট্রাকচালক। তার এই পেশার আড়ালে সে সরাসরি ডাকাত দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তার অন্যতম সহযোগী হিসেবে মাসুদ রানা ডাকাতির কার্যক্রম চালায়। মাসুদ মূলত একজন মাছ ব্যবসায়ী এবং সে তার ব্যবসার আড়ালে ডাকাতি করত। মাসুদের নামে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার ডাকাতি মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জসিম এবং জুয়েল পেশায় মিনি ট্রাক চালক। ডাকাতিকৃত যানবাহনগুলো তারা সু-কৌশলে বিভিন্ন ¯হানে চোরাকারবারীর নিকট পৌছে দিত। জসিমের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় এবং পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক ০২ টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও জুয়েল ডাকাতি করে আনা কিছু গাড়ি সংরক্ষণ করতো। জুয়েলের নামে ১ টি দস্যুতা মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ইদ্রিস চোরাই গাড়ি ক্রয় বিক্রয় করতো। পাশাপাশি সে ডাকাতির জন্য প্রয়োজনীয় গাড়ি সরবরাহ করতো। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার আলমাস পেশায় মুদি ব্যবসায়ী। ইব্রাহীম পেশায় মাছ ব্যবসায়ী এবং নয়ন ওয়ার্কশপ কর্মী। তারা পেশার আড়ালে ডাকাতি করত।

ডিআই/এসকে

শেয়ার করুনঃ