ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রেখে শারদীয় দূর্গা উৎসবে কোন ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। নিরাপত্তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার সব ধরনের ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় ঢাকেশ্বরীর জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ২৪৮টি পূজামন্ডপ রয়েছে। এই মন্ডপগুলোর নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহালয়া থেকে আজকে পর্যন্ত এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। আগামীকাল থেকে পাঁচ দিন ব্যাপী পূজার মূল কার্যক্রম শুরু হবে। মহাষষ্ঠী থেকে বিসর্জন পর্যন্ত পুরো সময়টাই পুলিশ আনসার সহ যে স্বেচ্ছাসেবক দল রয়েছে তাদের সহযোগিতায় নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সিভিল পোশাকেও লোক রাখা হয়েছে। আয়োজকদের সাথে আমাদের আধিকবার বিভিন্ন সভা হয়েছে। আমরা আশা করি আগামী পাঁচ দিন অত্যন্ত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে পূজা উদযাপনে কোন ধরনের সংখ্যা রয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি কমিশনার বলেন, পূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনো সুনির্দিষ্ট শঙ্কা নেই। তবে সব ধরনের শঙ্কা মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে এবং আমরা সকল ধরনের শঙ্কা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, সাতটা পূজা মন্ডপ ছোট এছাড়া সকল পূজা মণ্ডপ কে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা দুই ভাগে ভাগ করে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং কম গুরুত্বপূর্ণ রেখেছি। আমরা কেবল সাতটি পূজা মন্ডপকে কম গুরুত্বপূর্ণ রেখেছি এবং বাদবাকি সকল পূজা মন্ডপকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। যেহেতু এটি প্রধান প্রজামন্ডপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে থাকেন এবং জাতীয় পূজা মণ্ডপ এখানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেকটি জায়গায় আর্চওয়ে থাকবে এবং বিশেষ টিম থাকবে। প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপেই সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাইবারের মাধ্যমে কোন স্বার্থান্বেষী মহল তার ক্ষীন স্বার্থকে হাসিলের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করে থাকে। আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিস ডন পুলিশের পক্ষ থেকে এটি প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইবার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যে সমস্ত পূজা কমিটিগুলো রয়েছে সকলকে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে এই ধরনের কোনো কিছু পেলে যেন আমাদেরকে দিয়ে থাকে। আমাদের সার্বিকক্ষণিক মনিটরিং টিম এটি চব্বিশ ঘন্টা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সমন্বয়ে সভায় সকলকেই বলেছি নির্ধারিত সময়ে মধ্যে বিসর্জন যেন সম্পন্ন করতে পারি এবং কোন ধরনের সমস্যা ব্যাধি রেখে সকলেই সচেষ্টা থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডল, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারসহ ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ডিআই/এসকে