ঢাকা, শনিবার, ৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে কৃষকদলের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলন ও সাংস্কৃতি সন্ধ্যা 
নওগাঁয় মাটিবাহি ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুর মৃত্যু
ভূরুঙ্গামারী ফাযিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্রদের ঈদ পূর্ণমিলনী
কুয়াকাটা সৈকত দখল করে ঝুকিপূর্ণ মার্কেট নির্মানের অভিযোগ
কুড়িগ্রামে ২৪ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে কেমন কুড়িগ্রাম দেখতে চাই শীর্ষক মতবিনিময় সভা
বোদায় ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সরাইলে অভিযানে ৩ হত্যা মামলার আসামীসহ গ্রেফতার ৯
বাগমারায় চুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু:ঘাতকে পিটিয়ে হত্যা করলো উত্তেজিত জনতা
নড়াইলে বিএনপি নেতা সান্টুর উপর ককটেল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাখো পর্যটকের সমাগম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। শতভাগ হোটেল মোটেল বুকিং
আমতলীতে কুপিয়ে স্ত্রীর হাত কর্তন করলেন নেশাগ্রস্থ স্বামী
হোমনায় যুবকের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার
এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল শিক্ষা বোর্ড
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে মোদির সঙ্গে কথা বললেন ড. ইউনূস
প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার

এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে শিশু স্বাধীনের খুনিরা

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বালু নদীতে শিশু স্বাধীনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধারের ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যায় জড়িতরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, প্রভাবশালী চক্রের ইন্ধনে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডহলেও পুলিশ প্রশাসন এখনো নির্লিপ্ত। শিশুহত্যার বিচার তো মিলছেই না, উল্টো হত্যাকারীদের হুমকি-ধমকিতে বাড়িছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপনকরতে হচ্ছে।

গত ৪ ডিসেম্বর বালু নদীতে নির্মাণাধীন সেতুর নিচ থেকে ৯ বছরের শিশু ওসমান গণি স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বাধীন রাজধানী লাগোয়া নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহীন আলমের ছেলে। স্থানীয় পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে। এরআগে ১ ডিসেম্বর সেনিখোঁজ হয়।

স্বাধীনেরবাবা শাহীন আলম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাইমিজানুর রহমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করে আসছেন। তারভাষ্য, ভূমিদস্যু রফিককে বাড়ি লিখে না দেওয়ায় তার শিশুসন্তানকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে।

লাশ উদ্ধারের ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের কোনোভূমিকা নেই অভিযোগ করেশাহীন বলেন, ‘স্বাধীনের মরদেহ সবাই দেখেছে, হত্যাকরে আমার ছেলের মুখবিকৃত করে দিয়েছে, অ্যাসিডদিয়ে শরীর ঝলসে দিয়েছে।লাশ গুম করার সর্বোচ্চ অপচেষ্টা হয়েছে। এত কিছুর পরও প্রভাবশালীদের ইন্ধনে স্থানীয় প্রশাসন হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যুর মামলা দিতে বাধ্য করেছে।এরপর এটিকে হত্যা মামলার মতো গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের কথা বলা হলেওমূলত পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।’ পরিবারটির অভিযোগ, হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে প্রভাবশালী চক্র সরাসরি যুক্তথাকায় গত ১৯ দিনেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। ফলে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্তকেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বরং তারা অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এপ্রসঙ্গে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘একটাশিশু কোনো ভাবেই অপরাধ করতে পারে না।সেখানে পুলিশের একটা দায়িত্ব ছিলসুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা। কিন্তু তারাসেটা পারে না প্রভাবশালীদের চাপের জন্য, সেটা কী করে হয়? পুলিশ তার দায়িত্ব পালনকরেনি।’ সততার সঙ্গে পুলিশের দ্রুত তদন্তকাজ শেষ করা উচিত মন্তব্য করে তিনি আরওবলেন, ‘সমাজে যারা প্রভাবশালী,মাসল পাওয়ার আছে, টাকা আছে, তারাই আইন লঙ্ঘন করে।পুলিশের একটা কাজ আছেসততার সঙ্গে দ্রুত তদন্ত শেষ করা। কিন্তুসেটা হয় না অনেকসময় ওপর থেকে চাপেরকারণে।’ তিনি আরও বলেন, সাধারণত পলিটিক্যাল লিডাররা মানুষের জমি সব থেকেবেশি দখল করে। সেখানেহয়তো সে ফ্যাক্টরি বানাবে, মাছের ঘের করবে। এটাকিন্তু তার অধিকার খর্বহচ্ছে। মনিটরিং ও প্রশাসনের জবাবদিহিনা থাকার কারণে এগুলো ঘটছে।

জানাযায়, হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগেরংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নিহত স্বাধীনের দাদারেজাউল আলমকে বাড়িটি নামমাত্র মূল্যে বিক্রির জন্য জোর চাপদিয়ে আসছিল। তার সঙ্গে আরেকজননারীও ছিল। কিন্তু রেজাউলতাদের সাফ জানিয়ে দেনতিনি বাড়ি বিক্রি করতেচান না। কেননা বাড়িবিক্রি করলে তাদের থাকারজায়গা হবে না। তারপরওযদি কখনো বিক্রি করতেহয় তিনি নিজেই রফিকেরবাড়িতে গিয়ে প্রস্তাব দেবেন।অভিযোগ রয়েছে, রফিক তার ক্যাডার বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে দিনের পরদিন নির্যাতনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন রেজাউলেরপরিবারকে। শুরু হয় হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও চাঁদাবাজি। হত্যাকাণ্ডেরআগের দুই মাসে পরিবারটিরওপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে। এমনকিস্বাধীনের বাবা শাহীন আলমের দোকানে দুবার হামলা চালিয়ে মারধর করে রফিকের সন্ত্রাসীরা। এদিকে, স্বাধীন হত্যার এক সপ্তাহ আগেরফিকুলের ভাই মিজানুর রহমানস্বাধীনের পরিবারকে উচিত শিক্ষা দেবেনবলে বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যান। ঠিক এক সপ্তাহ পর স্বাধীন নিখোঁজ হয়। এরপর ওসমানগণির বীভৎস লাশ নদীতে পায়তার পরিবার।

গতকালশনিবার কথা হয় নিহত শিশু স্বাধীনের মা উম্মে হানি মুন্নীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘১৯ দিন হয়ে গেল, কিন্তু আমার সন্তান হত্যার সঙ্গে জড়িতরা মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। রফিক ও তারভাই মিজানের জমি দখলের ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছে আমার ছেলে। কিন্তু রূপগঞ্জের থানা-প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না।’ নিহত শিশু স্বাধীনের বাবা শাহিনুর আলম বলেন, ‘আমার শিশু সন্তান খুনের পর আমি পুলিশের কাছে গিয়েছি, অপরাধীদের নাম বলেছি। আমি বলেছি তারা আমার দোকানভাঙচুর করেছে, আমি প্রেস কনফারেন্স করেছি, সেখানেও আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। বাসায় হামলা করেছে, এখন আমি অন্যজায়গায় থাকি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কিছুই করেনি।’ তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন, ‘আমি প্রশাসনের ।

শেয়ার করুনঃ