মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি,উপজেলা প্রতিনিধি:
রামুর গর্জনিয়া বাজার টু নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের লেমুছড়ি সংযোগ ও সীমান্ত সড়কের কচ্ছপিয়া দোছরী নারিকেল বাগান ষ্টেশনের পূর্ব পাশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ সীমান্ত সড়ক দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ৬টি বিওপির বিজিবি সদস্য সহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যাতায়তে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাতায়াত কারিদের।
সরজমিন গিয়ে জানা গেছে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের একটি ব্যবসায়ীক, উৎপাদন ও রাজস্ব খাতের এলাকা হলো দোছরী গ্রাম এবং সড়কের সর্ব পুর্বে রাজস্বখাত ইউনিয়ন হিসেবে অবস্থিত পার্বত্য বান্দর বানের নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়ন।
যেখানে রয়েছে বাংলাদেশ- মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত লেমুছড়ি,পাইনছড়ি, তার্গোছড়া ফুলতলী,ভালুক খাইয়া বিজিবি ক্যাম্প ও বন বিভাগের একটি অফিস সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও কাঠ, বাঁশ ও ফলমুল সহ লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায়ের অন্যতম স্থান হলো এই ইউনিয়ন । তারই ধারাবাহিকতায় এই সীমান্ত সড়কটি হয়ে উঠে অত্যন্ত ব্যস্ততম ও জনগুরুত্বপূর্ণ।
সড়কের নারিকেল বাগান নামক স্থানটি ২০১৫ সাল থেকে ভাঙ্গন দেখা দিলে এলাকাবাসীর দাবীর মুখে লোক দেখানো কাজ করেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে কিছু বল্লি স্পার স্হাপন ও মাটি ভরাট করা হলে ক্ষনিকের দূর্ভোগ লাগব হয় যান চলাচল স্বাভাবিকতায় ফিরে। কিন্তু তা স্থায়ী রূপ নেয়নি। বছর শেষে আবারও যে লাউ সে কদু। সাবেক ছাত্র নেত রেজাউল করিম টিপু ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ছালেহ আহমদ জানান এ বছর বৃষ্টি শুরুর সাথে সাথে আবারও সড়কের ওই অংশ নদী গর্ভে চলে যেতে শুরু হয়। এ ভাবে চললে এ সীমান্ত সড়কটি ২-১ দিনের মধ্যে চলাচল সম্পুর্ন রুপে বন্ধ হয়ে পড়বে। কক্সবাজার ও বান্দরবান দুই জেলার মানুষের চলাচলের সমস্যা নিয়ে এখনো জেলা বা উপজেলার কোন কর্মকর্তা ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেন নি। তবে আজ রবিবার কক্সবাজার ৩ আসনের সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
এলাকার হোসেন আহমদ মাসুদ জানান
এই সীমান্ত সড়কের ভাঙ্গন স্হলে পরিকল্পিত ও স্থায়ী প্রটেকশন না হওয়ায় এ বছর আবার রাক্ষুষে নদীর কবলে পড়ে সড়কটি। জরুরী ভাবে উদ্যোগ না নিলে শুরু হয় পুনঃ ভাঙ্গন, ধীরে ধীরে তা বড় আকার ধারন করে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহ আলমসহ এলাকাবাসী জানান চলতি বর্ষায় পাহাড়ী ঢলে রাস্তার ৩ ফুট কার্পেটিং নদী গর্ভে চলে গেছে।
সড়কটি সিমান্ত সড়ক ও জন গুরুত্ব বিবেচনায় ভাঙ্গনরোধে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা দরকার। অন্যতায় ওই সড়কে যে কোন মুহুর্তে যাতায়ত ব্যবস্হা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এতে করে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম , রাজস্ব আদায়ে বিঘ্নতা ও সীমান্তের অসংখ্য বিজিবি সদস্যের রেশন সরবরাহ, নিয়মিত টহল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশংকা ব্যাক্ত করেন।
,