এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সবছেয়ে অনুন্নত এক উপকূলীয় এলাকার নাম ছনুয়া ইউনিয়ন। সেই ধুলো উড়া লক্কর ঝক্কর ভাঙ্গা টুকরো ইটের এবড়ো তেবড়ো জনপদে জন্ম নিয়েছে গুটিকয়েক গুনিজন। যাদের হৃদয়ের শৈল্পিক আলোয় ধীরে ধীরে শিল্পীর তুলির আঁচরের মত সুন্দর ও আলোকিত হয়ে উঠছে চির অবহেলিত এ জনপদ। তাদেরই একজন সাংবাদিক অানোয়ারুল আজিম সাঈফী। উপভোগ্য যৌবনের প্রতিটি ক্ষন ও অর্জনের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীর মত ঈর্ষনীয় এক গনগ্রন্থাগার। যে গণ গ্রন্থাগার ক্রমাগত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আলোকিত করে তুলছে সমাজকে- জনপদকে। সে অালোর মিছিলে সাহসী সিদ্ধান্তে সামিল হলেন, ছনুয়ার আরেক নক্ষত্র গুনিজন আয়কর আইনজীবি এডভোকেট রেজাউল করিম। ভাষার মাসে ব্যক্তিগক লাইব্রেরী থেকে ৫শ বই উপহার দিয়ে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। জ্ঞানপাগল বইপ্রেমিক চিরসুন্দর মনের মানুষদের হৃদয়ে স্থায়ীভাবে লিখে রাখলেন নিজের নামটি। সারাজিবনে গাড়ি ভাড়া আর সকাল-বিকালের নাস্তার টাকা বাছিয়ে, দামি দামি পোষাক প্রসাধনী না কিনে, সেই টাকা দিয়ে বই কিনে নিজের ব্যক্তিগত লাইব্ররীকে সমৃদ্ধ করা সেই আলোকিত মানুষ এডভোকেট রেজাউল করিম হঠাৎ তাঁর মাথায় আসা জ্ঞানের মিছিলে সবাইকে সামিল করতে সাহসী ও সর্বোচ্চ ত্যাগী এক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত লাইব্রেরী থেকে ৫০০ মহা মুল্যবান বই ভাষার মাসে হস্তান্তর করলেন উপকূলীয় পাবলিক লাইব্ররীতে। উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্টাতা পরিচালক সাংবাদিক কলামিস্ট আনোয়ারুল আজিম সাঈফী বইগুলো গ্রহনপুর্বক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,
আয়কর আইনজীবী রেজাউল করিম শরীফি একজন বইপোকা মানুষ। বইয়ের রাজ্যে অবাধ বিচরণ প্রিয় মানুষটির। একজন প্রজ্ঞাবান এবং জ্ঞানী মানুষ। প্রচুর বই পড়েন তিনি। নিজের বাড়িকে বানিয়েছেন একটি গ্রন্থাগার। বই শুধু একা না পড়ে বহুজনে জ্ঞান বিলানোর মহৎ মানষিকতা থেকে তাঁর প্রিয় বইগুলোর মায়া ত্যাগ উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীকে সমৃদ্ধ করার যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন তা শুধুমাত্র প্রশংসা করে শেষ করা যাবেনা। মুলতঃ এডভোকেট সাহেবের এ ত্যাগ যুগ যুগ ধরে সুশীল সমাজের পাশাপাশি শিক্ষিত সমাজের কাঁছে অমর হয়ে থাকবে। তার ব্যক্তিগত গন্থাগার থেকে প্রায় ৫শত বই নিজের জন্মস্থানের পাঠকদের জন্যর উপহার পাঠিয়েছেন বইপ্রেমী এই প্রিয় মানুষটি।
মহৎ গুনিজন এডভোকেট রেজাউল করিম জানালেন, বইগুলো শুধু আমি একা পড়লে চলবেনা। আরও হাজারো পাঠকের কাছে পৌঁছে যাক বই। উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরী এলাকায় জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে যে আলো ছড়াচ্ছে, একদিন আমার বইগুলো পড়েও পাঠক ও সুশীল সমাজ আমার কল্যান কামনায় মুনাজাত করে দোয়া করবে, আমাকে স্মরন করবে। আমি মনে করি, ক্ষূদ্র এ জিবনে এ আমার বিশাল সফলতা ও অর্জন।
উল্লেখ্যঃ বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবি এডভোকেট রেজাউল করিম শরীফি ছনুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব এম জিল্লুল করিম শরীফির সহোদর বড়ভাই।