
রাজনীতির বাইরে ও আমি ফরিদপুর শহরের সন্তান, এখানে আমার জন্ম,এটা আমার শহর,এই শহরবাসীর সুখ দুঃখ বুঝার ক্ষমতা আমার আছে। বিগত দিনে এ শহরে একটি রাজনৈতিক অপশক্তির কাছে শহরবাসী জিম্মি ছিল। সেই পরিচিতি মোকাবেলা করার জন্য, এই শহরবাসীর শান্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেন। আমি দাযিত্ব পাওয়ার পর সর্বদা চেষ্টা করেছি এই শহরবাসীর সুখ দুঃখের সাথী হয়ে সঠিক সেবাটা তাদের মাঝে দেয়ার জন্য। জানিনা কতটুকু করতে পেরেছি বা দিতে পেরেছি। তবে চেষ্টা করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমার প্রতি যে আস্তা ভরসা ছিল সেটা ধরে রাখতে।
আমি মুজিব আদর্শকে বুকে ধারন করে রাজনীতি করি। অর্থের লোভ, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজ,অন্যায় অবিচার, করার জন্য রাজনীতি করিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে নির্দেশনা দিবেন সেটায় আমি মাথা পেতে নিবো।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। জাতির পিতাকে হত্যা পর এই নির্মমতার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হুলিয়া মাথায় নিয়ে আমি বাংলাদেশের বাইরে জীবন গড়ছিলাম, কিন্তু দেশ ও জনগনের প্রতি আমার ভালবাসা সবসময়ই আমার অন্তরে ছিল।
যে নাগরিকত্ব নিয়ে আমার ফরিদপুর বাসীর মনের মধ্যে একটি জল্পনা কল্পনা ছিল,আমি সেটা ছেড়ে দিয়েছি। তবে আমি আমার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ছেড়ে দিইনি। আমার রক্তের টানে আমি আমার সম্পদ বাংলাদেশের মানুষের কাজে লাগাতে দেশে ফিরে এসেছি।আমি আজ একজন বাংলাদেশী নাগরিক এবং শুধুমাত্র একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কোন ধরনের লোভ লালসা আপনারদের মাঝ থেকে আমাকে দূরে রাখতে পারবেনা। তার প্রমান আমার প্রতি আপনারদের স্নেহ ভালবাসার মাধ্যমে আমি বুঝতে পেরেছি।
আমি আমার ফরিদপুর বাসীর কাছে আহবান জানাবো আনন্ন দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করবেন।এবং দেশ ও জাতীর উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবেন।
এমনি ভাবে সাংবাদিকদের কথা উত্তর দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামিম হক।