ঢাকা, সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
৩৪তম বিসিএস পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহী, সম্পাদক জুয়েল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল মেঘনা নদীর ভাঙনে দিশাহারা কয়েক’শ পরিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভায় সড়কে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ
১৭ পুলিশ সুপারকে বদলি
রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের আরও ১৬ সদস্য গ্রেফতার
সারাদেশে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৪১৫
মামলা থাকায় গ্রেফতার নুসরাত ফারিয়া বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান শ্রমিক লীগের সহ-সম্পাদক বুলু গ্রেফতার
ডিআরইউতে বায়রার সংবাদ সম্মেলন ঘিরে হট্রগোল, মারধোর
নড়াইলে রেল লাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
নোয়াখালীতে অস্ত্র-গুলিসহ ৩ ডাকাত আটক
খুলনা রেঞ্জে পুলিশের নতুন দিগন্ত ডিআইজি মো.রেজাউল হক পিপিএম
পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত আইজিপি হলেন ১২ পুলিশ কর্মকর্তা
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় উদ্বিগ্ন আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা

দশমিনা থেকে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী তালগাছ

পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় গ্রাম-বাংলা থেকে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী তালগাছ। ৩.২২১.৩১ বর্গকিলোমিটার এই পটুয়াখালী জেলার ৮টা উপজেলার ৮৮২ টি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় একসময় পরিপূর্ণ ছিলো এই তালগাছে। ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ বান্ধব তালগাছ গ্রাম বাংলা থেকে আজ তা বিলুপ্তির পথে।

তাল পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, তালপাতার চাটাই মাদুর, হাতপাখা, পুতুল, লেখবার পুঁথিসহ ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরী হয় এমনকি তালের কাট দিয়ে বাড়ি,ও নৌকা তৈরি করা হতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে গ্রামাঞ্চল থেকে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ তালগাছ।

তালের ফল এবং বীজ দুই-ই বাঙালির জন্য সুস্বাধু খাদ্য। তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা থেকে মিছরি, গুড়, পাটালি, তৈরি করা হতো। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। তালগাছকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এক কবিতায় লিখেছিলেন, “তালগাছ, এক পায়ে দাড়িয়ে, উকি মারে আঁকাশে, সব গাছ ছাড়িয়ে,।

” রবীন্দ্রনাথ তাল গাছকে একাকী এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ধ্যানী বলে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাল গাছকে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে, ক্লাসে পড়া না পারা ছাত্রের সাথে তুলনাও করেছেন। আমাদের দেশের পরিবেশ বান্ধব এই তাল গাছ আজ বিলুপ্ত প্রায়। তাল গাছের পাতার সাথে সুপরিচিত বাবুই পাখির সুনিপুণভাবে তৈরী পাতার সাথে ঝুলানো বাসা (আশ্রয়স্থল) সকলের পরিচিত।

আজকাল আর আগের মতো গ্রামগঞ্জে শত শত পাখির কিচির-মিচির ডাক আর মনোরম দৃশ্য চোখে পরে না। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতি হয়ে উঠছে বিরাগভাজন। সময় মত বৃষ্টি না হওয়া, আবার অতিবৃষ্টি, কালো মেঘের বজ্রপাতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা এত বেশি যা ভাবিয়ে তুলছে। এ অবস্থায় তাল গাছ রোপণ, হেফাজত ও রক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ প্রয়োজন।

উপজেলার কৃষক রফিক, সাথে কথা বলে তালগাছ সম্পর্কে যানাযায়,“তাল গাছের পুরো অংশই মানুষের কাজে বা উপকারে আসে। এ গাছ রোপন করলে তাতে বেশী জমি দখল করেনা এবং জমিও বেশি নষ্ট হয় না। এ গাছের জন্য কোন সার ঔষুধ ব্যবহার করতে হয়না। পরিচর্যাকারীর তো কোন প্রয়োজনই হয় না। রোপন করার ৮থেকে ১২ বছর পরে তাল গাছে ফল ধরে। এ গাছ খুব শক্ত-পোক্ত হওয়ায় ঝড় বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। কৃষকরা দাবী করে বলেন, এ বিষয়ে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা এবং তদারকি থাকলে হয়তো গাছগুলো একটু বেশি করে রোপন করা হত।”

এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু জাফর আহম্মেদ বলেন,, তাল গাছ রোপনের ব্যাপারে আমরা কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করি এবং গতবছর বেতাগী ও দশমিনা সদর কৃষকদের মাঝে ৫০০ আটি দিয়েছি। কিন্তু আগের তুলনায় তাল গাছ একটু কম। তিনি আরও বলেন এ বিষয়ে আমাদের কোন অর্থ বরাদ্ধ নেই।

শেয়ার করুনঃ