
২৮ অক্টোবরের সহিংসতা এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায়ে অভিযান চালিয়ে আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ নিয়ে মোট ৮৬৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত ২৮ অক্টোবর এবং পরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায়, সোমবার ১১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে যানবাহনে আগুন, ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা ও নাশকতাসহ পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ৮৬৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে র্যাবের চার শতাধিক টহল দল মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাব ফোর্সেসের রোবাস্ট টহল পরিচালিত হচ্ছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে টহলের মাধ্যমে এসকর্ট দিয়ে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
ডিআই/এসকে