
দুবাই থেকে সিলেটে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের সিটের নিচ থেকে ও বাথরুমের কমোডের ভেতর থেকে সাড়ে ২৬ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ করেছে সিলেট বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও কাষ্টমস কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত চার জনকে আটক করেছে সরকারি এই সংস্থাটি।
শুক্রবার (৮ডিসেম্বর) রাজধানীর আইডিইবি ভবনে অবস্থিত কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রউফ।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (৩৮), মো. সানু মিয়া (৩৬), মো. আক্তারুজ্জামান (৪০) এবং মিশফা মিয়া (৪৭)।
মো. আব্দুর রউফ বলেন, দুবাই থেকে সিলেটে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইটে আনুমানিক সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে জনৈক যাত্রী হযরত ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন গোপন সংবাদ আসে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কাছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল সিলেট এয়ারপোর্টের চৌকষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কতামূলক অবস্থান নেন। পরে এই স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত চারজন ব্যক্তির সীটের নীচে তল্লাশি করে ১০ টি স্বর্ণবারের বান্ডেল এবং বিমানের টয়লেট থেকে ৪ টি স্বর্ণবারের বান্ডেল এবং ০৬ টি স্বর্ণের ডিম (লিকুইড গোল্ড ১.৫ কেজি) উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের পরিমাণ ৩২.৬৫ কেজি (স্বর্ণবার ২৮০ টি) এবং ০৬ টি স্বর্ণের ডিম (লিকুইড গোল্ড ১.৫ কেজি) উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মোট ওজন ৩৪ দশমিক ১৫ কেজি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আটককৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ২৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল, সিলেট এয়ারপোর্ট এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীগদের তৎপরতায় ও তল্লাশীর কারণে এই স্বর্ণ চোরাচালানটি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
আটককৃতদের সিলেট বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করে ফৌজদারী মামলা দায়ের করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রউফ।
ডিআই/এসকে