ঢাকা, শুক্রবার, ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে নবীগঞ্জে আলোচনা সভা
ঈদ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যাব এর বাড়তি নিরাপত্তা, চেকপোস্ট বসিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি
পটুয়াখালী এলএ শাখার চিহ্নিত দালাল মির্জা সুবেদ আলী রাজা আটক
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বৃষ্টিতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তী
৭ দিনে সেনা অভিযানে গ্রেফতার ৩৯০, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ
প্রতিকূল আবহাওয়ায় গর্ভবতী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিল কোস্ট গার্ড
খিলগাঁও থেকে অস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
টিকটকে পরিচয়,আবাসিক হোটেলে নিয়ে খুন,অতঃপর
জলাবদ্ধতা নিরশনে ডিএনসিসির জরুরি কন্ট্রোলরুম স্থাপন
মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং ক্লাবের নেতৃত্বে মহসিন-মিয়াজী
নবীগঞ্জ উপজেলায় তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার সমাপনী দিনে জনসচেতনতামূলক সভা
৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ৩ হাজার পদে নিয়োগ
ঈদ উপলক্ষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তায় ৭৪ জন আনসার মোতায়েন
সুন্দরগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতীশিলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ
রূপসায় ৬০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

জীবননগরে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত গাছিরা

চুয়াডাঙ্গা জেলায় খেজুরের_রস_সংগ্রহ_করতে_ব্যস্ত_গাছিরা
প্রবাদ আছে ‘চুয়াডাংগার জেলার যশ খেজুরের রস’ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে গাছিদের। খেজুর গাছের অগোছালো শুকনা পাতাগুলো ফেলে দিয়ে গাছগুলোকে নতুন চেহারায় আনছে গাছিরা।

রস বের করার জন্য গাছকে প্রস্তুত করে নলি ও ঠিলে (ভাড়) ঝুলিয়ে দিবেন। তারা এই রস দিয়ে তৈরি করেন সুস্বাদু গুড় এবং পাটালি। একসময় চুয়াডাঙ্গা সহ জীবননগর উপজেলায় মাঠ এবং রাস্তার দুইধারে সারি সারি অসংখ্য খেজুর গাছ ছিলো। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই সব খেজুর গাছ। কিন্তু এখনো যে গাছ গুলো আছে তা থেকেই শীতের রস সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন গাছিরা। ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ।ছয় ঋতুর মধ্যে হেমন্ত একটি উল্লেখযোগ্য ঋতু আর এই ঋতুতেই আসে শীত সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকা খেজুর গাছগুলোকে নতুন করে সুসজ্জিত করেন গাছিরা এবং রস সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন তারা। এর ফলে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা জীবননগর উপজেলার খেজুর গাছগুলো কদর বেড়েছে গিয়েছে। এ বছর শীতে শুরুতেই বৃষ্টির প্রকোপ দেখাতে যদিও রস এখনো ঠিকমতো বের হয়নি।

এখনো তেমন শীতের প্রভাব না পড়লেও খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। গাছের সংখ্যা অল্প থাকার কারণে চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করেছে অনেক গাছিরা।

এ ব্যাপারে গাছিরা বলেন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া রস,গুড় ও পাটালির দাম থাকে একটু চড়া। তবু এই রস নিতে ভুল করেন না সকল শ্রেণীর মানুষ। কাঁচা রস প্রতি ভাড় ১২০ থেকে ১৫০ টাকা হয়ে থাকে। আর পাটালী প্রতি কেজি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এছাড়া খেজুর পাতা দিয়ে তৈরী করা হয় আর্কষণীয় ও মজবুত শীতল পাটি।কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশবান্ধব খেজুর গাছ এখন প্রয়ই বিলুপ্তির পথে। এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, আমরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে বেনাপোলসহ শার্শার বিভিন্ন সড়কের দুই ধার দিয়ে খেজুরের গাছ লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। এই গাছের জন্য বাড়তি কোন টাকা খরচ করতে হবে না। আর যেটা দিয়ে সকলের রস ও গুড়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি। শার্শা উপজেলাতে প্রায় ৫০ হাজার ৫০০টি খেজুর গাছ রয়েছে। সেখান থেকে কৃষকরা খেজুরের রস সংগ্রহ করবে এবং তা থেকে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি পণ্য তৈরি করে সেটা বাজারে ও বিক্রি করে তারা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুনঃ