
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দুই দিন পর ভিকটিমের বাবা বিজয়নগর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
গত ৮ জুন (রোববার) রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলায় একই গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী মন্নর আলীর (৪৫) নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভিকটিম স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভিকটিম তার খালাতো বোনের বাড়ি যায় এবং সেখান থেকে একা বাড়ি ফেরার পথে তাদের রান্না ঘরের উত্তর পাশে পেছনের একটি গাছের নিচে পৌঁছালে একদল ব্যক্তি তাকে ঝাঁপটে ধরে ওড়না দিয়ে নাক, মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা মেয়েটিকে পাশের বাড়ির একটি ঘরে নিয়ে যায়, যা অভিযুক্ত মন্নর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া হাসনা বেগমের ব্যবহৃত ঘর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে ভিকটিমকে খাটে শুইয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে আসামিরা খাটের নিচ থেকে ইট তুলে ছাত্রীটির মাথায় আঘাত করে এবং তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর ভিকটিমকে ধর্ষণ করা হয়।
ভিকটিম ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে ফেলে এবং চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দরজা ভেঙে তাকে বিবস্ত্র, রক্তাক্ত ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম একাধিক ফোন করলে ফোন রিসিভ করেনি।