ঢাকা, শনিবার, ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
পুলিশের কাছে রাইফেল থাকলেও থাকবে না মারণাস্ত্র : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সিলেটের কৈলাশ টিলা ও মাজার গোলাপগঞ্জবাসীর গর্ব
বিপুল ইউরিয়া সার ও রয়েল টাইগারসহ ৬ পাচারকারী আটক
বোদায় বিলুপ্ত প্রায় ‘কাউন ‘এখন শখের চাষ
নাগেশ্বরীতে সরকারি রাস্তা দখলের অভিযোগ
বর্ষায় রূপগঞ্জে চাঁই’য়ের কদর বেড়েছে
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়কের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে পটিয়া বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
বাদাম চাষিদের সাফল্য-হতাশার গল্প তিস্তার চরজুড়ে
অসুস্থ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা পেলেন নবীনগরের প্রবীণ সাংবাদিক শ্যামল
ট্রাক প্রতীকের মালিক নুরুল হক নুর’র সংবাদ সম্মেলন
ধোপাখালী গ্রামবাসীর মতবিনিময় সভায় জেলা আমীর রুহুল আমীন
পাঁচবিবিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা
বাকলিয়ায় শিক্ষার আলো ছড়িয়েছিলেন মরহুম আহমেদুর রহমান:- ডা. শাহাদাত হোসেন
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছিল বাংলাদেশিদের,মানব পাচারকারী চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার
নওগাঁয় সীমান্ত দিয়ে পুশইনের সময় এক নারীকে আটক

ঝিনাইগাতীতে পাহাড় ও নদী থেকে পাথর ও বালু উত্তোলনে সৌন্দর্য হারাচ্ছে গারো পাহাড়

এম,শাহজাহান শেরপুর-জেলা প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড় ও নদী থেকে পাথর ও বালু লুটপাট চলছেই। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে গারো পাহাড়। জানা গেছে, যে সৌন্দর্যকে ঘিরে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনীতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পর্যটন কেন্দ্র। মৌজার নামানুসারে পর্যটন কেন্দ্রের নাম রাখা হয় গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিবছর সারাদেশ থেকে লাখ লাখ ভ্রমন পিপাসুদের আগম ঘটে এ পর্যটন কেন্দ্রে। এখান থেকে সরকারের ঘরে আসে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব। এ পর্যটন কেন্দ্রের চার পাশে পাহাড়, খাল,বিল, নদী নালা। যা পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণীয় করে রেখেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাশালীরা গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ক্ষতি সাধন করে পর্যটন কেন্দ্রের চার পাশের নদী নালা খাল বিল ঝর্না ও পাহাড় কেটে
অবাধে পাথর ও বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে । জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী বালুদস্যুরা উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কালঘোষা নদীর হালচাটি, মালিটিলা,গান্ধীগাঁও বাঁকাকুড়া,দরবেশতলা, মঙ্গল ঝুড়া, পশ্চিম বাঁকাকাকুড়া, ৫ নাম্বার নামকস্থান, ছোটগজনী, গজনীসহ আশপাশের এলাকার নদী, পাহাড়, ঝুড়া, খাল বিল ও ঝর্না থেকে অবাধে পাথর বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে । জানা যায়,শতশত বালুদস্যু দিনে রাতে লাখ লাখ টাকা মূল্যের বালু পাথর লুটপাট করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রাক,মাহিন্দ্র ও ট্রলিগাড়ি যোগে এসব বালু পাথর দিনে রাতে পরিবহন করা হচ্ছে। বালুদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় বালু কান্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদতো দুরের কথা মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায় না। আবার কেউ মুখ খুললে তাদের উপর নেমে আসে বালুদস্যুদের হুমকি ধামকি। এরপরেও মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসনও বনবিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আটক করা হচ্ছে বালু ভর্তি মাহিন্দ্র। কিন্তু এরপরেও বন্ধ হচ্ছে না গারো পাহাড় থেকে বালু পাথর লুটপাট। বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে এক সপ্তাহে তারা অভিযান চালিয়ে বালু ভর্তি ৫ টি মাহিন্দ্র গাড়ি আটক করে। এসময় বালুদস্যুরা তাদের গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে কেঁচিগেইটে হামলা চালায় এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গত ৪ জুন রাতে বালু ভর্তি ৮/১০ টি মাহিন্দ্র পাঁচার কালে উপজেলা সদর বাজারে বালুর বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে বালুদস্যু রা স্থানীয় একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে এবং প্রাননাশের হুমকি দেয়। এরআগে ভ্রাম্যমান আদালতে বালু শ্রমিকদের সাজা দেয়ায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বালুদস্যুরা। বর্তমানে ও থেমে নেই অবৈধভাবে বালুও পাথর লুটপাট। দিনে রাতে হরদমই চলছে পাঁচার। পাহাড়, নদী নালা ও ঝর্ণা থেকে অবাধে পাথর ও বালু লুটপাটের কারনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মক ভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পরেছে। গজনী ফরেষ্ট বিট কর্মকর্তা সালেহীন নেওয়াজ বলেন লোকবলের অভাবে নিরাপত্তা জনিত কারণে রাতের আঁধারে বালুদস্যুদের ঠেকাতে তারা হিমসিম খাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, অবৈধভাবে বালু লুটপাট বন্ধে প্রয়োজনে সেনাবাহীনির সহায়তা নেয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ