
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদুল্লাহ বলেছেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত মানবসেবা। তিনি বলেন, “আমরা নেতৃত্বের পেছনে দৌড়াই না, মানুষের পাশে থাকলেই নেতৃত্ব তৈরি হয়। মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম বলেই আজ চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রতিটি গলিতে বিএনপির গণজোয়ার উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই এলাকার প্রতিটি মহল্লায় বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত। সাধারণ মানুষ আমাদের ওপর ভরসা রাখছে, আশাবাদী হয়ে উঠেছে। কারণ মানুষ জানে, বিএনপিই তাদের প্রকৃত বন্ধু। বিএনপি অতীতেও মানুষের পাশে ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”
১২ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ শেষে সংগীত আবাসিক এলাকার এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সভায় মহল্লার নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় বাসিন্দা এবং দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহল্লা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য নাজমুল হক চৌধুরী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আর ইউ চৌধুরী শাহীন, নগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জাফর আলম এবং পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জননেতা মনির আহমেদ চৌধুরী।
সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিক এবিএম ইমরান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ খোকন, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক ইনু, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিজান, ৪৩নং (আমিন শিল্পাঞ্চল) ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল বাতেন, সদস্য সচিব রুহুল আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচলাইশ থানা আহ্বায়ক শফিউল আলম সফি এবং নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান বাবু, মোহাম্মদ আলম, তারেকুল ইসলামসহ অনেকে।
গণসংযোগ কার্যক্রম চলাকালে এরশাদুল্লাহ একজন ক্যান্সার রোগীসহ কয়েকজন দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন, যা স্থানীয়দের মধ্যে প্রশংসার দাবি পায়। নেতাকর্মীরা জানান, এই ধরনের মানবিক সহায়তা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
এই আয়োজনকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ সরাসরি অংশ নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দের দৃঢ় প্রত্যয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন হবে বিএনপির ঘাঁটি।