
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনার ১৪ দিন অতিবাহিত হতে চললেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া এবং উল্টো বাদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় পূর্ব চাম্বল নিজ বাসভবনের এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বিভিন্ন মামলার আসামি আওয়ামী লীগ দোসর শাহাবুদ্দীন সহ আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলা হয়-আসামিদের প্রাণনাশের হুমকিতে জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি কাদের সিদ্দিকীর মাতা সোনিয়া খাতুন,বড় ভাই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত সদস্য নুরুল ইসলাম,ছোট নুর মোহাম্মদ,নুরুন নবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদি কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা জানান,বিগত ২০২১ সালে পারিবারিক ভাবে পৈতৃক সম্পদ ৫ ভাই দুই বোন এবং মার মাঝে সমান ভাবে ভাগবাটোয়ারা করে উভয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও।পরে কিছু প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে আপন মায়ের পেটের ভাইয়ের সাথে ভাগবাটোয়ারা করা জায়গা নিজের বলে দাবি করলে।বড় ভাই এতে প্রতিবাদ করলে বাড়ি থেকে ফেরার মূহুর্তে হঠাৎ ২৮মে সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে চাম্বল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পূর্ব চাম্বল গ্রামের আওয়ামী লীগের দোসর শাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে আপন বড় ভাই কাদের সিদ্দিকীকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার উদ্দেশ্যে জনসম্মুখে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মমভবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।পরে স্থানীয়রা রক্ষায় এগিয়ে এসে আহত কাদের সিদ্দিকীকো বাঁশখালী হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।এ ঘটনায় চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে গত ৩ জুন ওয়ার্ড জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়েরের পর প্রতিপক্ষরা আরো বেপরোয়া হয়ে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন।আসামিদের হুমকির মুখে কাদের সিদ্দিকী ও তার পরিবার কুমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।