
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি ঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার ইসলামপুর (পূজাখোলা) গ্রামে এক গৃহবধুকে হয়রানী করার চেষ্টার প্রতিবাদ করায় ঐ গৃহবধুর আত্মীয় মামা শশুড় জহিরুল ইসলাম
(৩৩) গৃহবধূর স্বামী মো. হৃদয় (২৫)অপর মামা শশুড় আমির হোসেন (৪০)কে মারধোর করে আহত করেছে বখাটে ওসমান খান(৩১) । বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় আমতলী উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ঐ গৃহবধুর মামা শশুড় মো. জহিরুল ইসলাম । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন , গত মঙ্গলবার সন্ধা ৭.০০ ঘটিকার সময় আমার ভাগিনা মোঃ হৃদয় জানায় তার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ওসমান খান, হৃদয়ের মামাতো বোন ফাতেমার কাছে হৃদয়ের স্ত্রীর নাম্বার চায় অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য । হৃদয় ঐ দিনই ওসমান খানকে জিজ্ঞাসা করিতে যায় এবং তার সাথে তর্ক ঝগড়ার পর ঘটনার সূত্রপাত হয় ১১/০৬/২০২৫ইং তারিখ রোজ বুধবার হৃদয়ের মামা মোঃ আমির হাওলাদার কে ওসমান খান দোকান থেকে ডেকে নেয় এবং কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই ওসমান খান, সুলতান খান, মহসিন মোল্লা, নুরআলম খা, মাসুম খা এবং আরও অজ্ঞাত কিছু সন্ত্রাসী লোকজন ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে বেরধরক মারধর শুর করে এবং তার সাথে থাকা মাছের চালান এবং গরু বিক্রয়ের ১,১১,০০০/- (এক লক্ষ এগার হাজার) টাকা জোর পূর্বক ছিনতাই করে নিয়ে যায়।স্থাণীয় রাসেল শরীফ মুঠোফোনে হৃদয়ের মামা জহিরুল ইসলামকে জানান আমির হোসেনকে মারধর করিতেছে ওসমান খান । এ সময় জহিরুল ইসলাম,মো. হৃদয়, মোঃ সাগরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ওসমান খান ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বেধরক মারধর করে আহত করেন। মারধোরের খবর স্থানীয় লোকজন চলে আসলে ওসমান খান ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা চলে যায় । স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে নিয়ে আসেন আহতদের মধ্যে আমির হোসেনের অবস্থা গুরুত হওয়ায় কর্তাব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। অপর আহত জহিরুল ইসলাম ও ঐ গৃহবধুর স্বা মী হৃদয় আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।এ বিষয় আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন এখোনা কোন অভিযোগ পাইনাই অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।